চবিতে ছাত্রলীগকর্মীকে সিএনজিওয়ালার মারধর, প্রতিবাদে প্রধান ফটক অবরোধ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সিএনজিওয়ালার হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয় ও সিএফসির দুই কর্মী ও এক সাধারণ শিক্ষার্থী। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে রেখেছে বিজয় ও সিএফসির কর্মীরা।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থী রৌফন প্রমানিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ছাত্র ও বিজয়ের কর্মী। অপরজন ফয়সাল নাফি অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ও সিএফসির কর্মী। এছাড়াও ফজলে রাব্বি গণিত বিভাগের ছাত্রও মারধরের শিকার হন। তিনজনই ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সোমবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে সাতটা থেকে প্রধান ফটক আটকে রেখে আন্দোলন করে তারা।

আন্দোলনরত বিজয় কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এক নম্বর গেট রেল ক্রসিং এলাকায় সিএনজিওয়ালার সাথে মারধরের শিকার ওই দুই শিক্ষার্থীর ভাড়া নিয়ে তর্ক হয়। তর্কের এক পর্যায়ে আশপাশ থেকে কয়েকজন সিএনজিওয়ালা জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করতে থাকে। এসময় আশেপাশের লোকজন ছাড়িয়ে নেয়ার বদলে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের যেখানেই পাবি সেখানেই মারবি’ বলে চিল্লাতে থাকে।

তারা বলেন, প্রায় সময়ই সিএনজি ওয়ালাদের হাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা হেনস্তার শিকার হয়ে আসছে। প্রশাসন এ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমাদের আন্দোলন তীব্রতর হবে।

মারধরের শিকার ফয়সাল নাফি বলেন, আমরা তিনজন শহর থেকে টিউশন শেষ করে নাজিরহাটের ট্রেনে করে আসছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল ক্রসিং নেমে একজন সিএনজিওয়ালার সাথে কথা বলি। কিন্তু সে ২০ টাকার নিচে আসতেছিল না। পরে আমরা অপর একজন সিএনজিওয়ালার সাথে কথা বললে আগের সিএনজিওয়ালা আমাদের গাড়িতে না তুলতে বলে।
এর কারণ জিজ্ঞেস করলে সে আমাদের সাথে উল্টাপাল্টা ব্যবহার করে। আমাদের বলে যে আমরা নাকি বেশি বেড়ে গেছি। এটা বলতে না বলতেই আশপাশ থেকে আরো কয়েকজন সিএনজিওয়ালা এসে আমাদের মারতে থাকে। এরপর তারা পালিয়ে যায়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা গেইট ছেড়ে দেন নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। আন্দোলনকারীদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। সিএনজিওয়ালার সাথেও যোগাযোগের চেষ্টা করছি। উভয়পক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।