চবিতে ছাত্রলীগের একাংশের সংঘর্ষ

বিগত কয়েকদিন ধরে ক্যাম্পাসজুড়ে চাপা উত্তেজনার পর সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের বিজয়ের পক্ষের দুই উপ-গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এখনও পর্যন্ত হতাহতের সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বেশ কয়েকজন সামান্য আঘাত পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

জানা গেছে, বগি ভিত্তিক সংগঠন বিজয়ের অনুসারীরা দুই ভাগে বিভক্ত। একপক্ষ আলাওল হল ও স্যার এ এফ রহমান হল এবং অপরপক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান করে। তবে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষ একসাথে থাকলেও চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ পাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও জোরালো হয়। আর তা সময়ে সময়ে প্রকট হতে থাকে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। পরে গত ৩-৪ দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে। আবাসিক হলগুলোর সামনে বিকেল হলেই অস্ত্র নিয়ে জড়ো হতে দেখা গেছে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের। তবে অস্ত্রের মহড়ার ‘নিরবতা’ ভেঙ্গে আজ সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই পক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, এদিন আলাওল হল ও এএফ রহমান হলে অবস্থানরত বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থানরত কর্মীদের উপর আকস্মিক হামলা চালায়। এর পর পরেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একপক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলের ছাদে ও অপরপক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলে মাঠে অবস্থান নিয়ে এলে অপরের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় আলাওল হল ও এফ রহমান হলের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে প্রবেশ করে কয়েকটি কক্ষে ভাংচুর করে। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নেতাকর্মীরা যার যার হলের দিকে ফিরে যায়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্র‍্যত্যেকেই নিজ নিজ হলের সামনে সতর্ক অবস্থানে আছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনা শুনার সাথে সাথেই পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ সবাইকে যার যার হলে পাঠিয়ে দিয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।