টানা বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধস ও গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহি কলোনি এলাকায় পাহাড় ধস ও গাছ উপড়ে পড়ে একটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় এ পরিবারের একজন আহত হয়েছেন। অপরদিকে জলাবদ্ধতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন ও ৩ নম্বর রুটে গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
রোববার দিবাগত রাত ও সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে এসব ঘটনা ঘটে। শাহী কলোনিতে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মচারী মোহাম্মদ হানিফের পরিবারকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি কলেজের একটি কক্ষে অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যাবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও আহত পরিবারের সদস্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহী কলোনি, কাটা পাহাড়, গোল পুকুর এলাকায় পাহাড় ধ্বস হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, সমাজবিজ্ঞন অনুষদ, নিরাপত্তা দপ্তর, গোল পুকুর, বঙ্গবন্ধু উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। এসব পাহাড় ধস ও গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের লাইন ও ইন্টারনেটের সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, টানা বৃষ্টির প্রভাবে ক্যাম্পাসের নানা জায়গায় পাহাড় ধস ও গাছ উপড়ে পড়েছে। শাহী কলোনিতে একটি পরিবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির জন্য নিরাপদ আশ্রয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও পাহাড় ধস ও গাছ উপড়ে পড়ার ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আমরা করতেছি।
অপরদিকে টানা বর্ষণের প্রভাবে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার প্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে৷ নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা প্রথম শাটলটি ফতেয়াবাদ স্টেশন ও ২য় শাটলটি ষোলশহর স্টেশনে আটকা পড়ে। যার ফলে কোনো শাটলে এদিন বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে পৌঁছাতে পারেনি। এছাড়া সকাল থেকে ফতেয়াবাদের পর থেকে সকল ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদার বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে ট্রেন ফতেয়াবাদ স্টেশন পর্যন্ত এসে আর চলতে পারেনি। তাই ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শাটল ট্রেন আবারও পূর্বের ন্যায় চলাচল করবে। বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সকলকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় না চলাফেরা করার আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, যেখানে যেখানে গাছ পড়েছে ব্লক আছে, সেগুলো সরানোর ব্যবস্থা চলছে। পাহড় ধসে একজন মাথায় আঘাত পেয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক করতে আমরা কাজ করছি।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।