চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ‘ফ্লেয়ার্স পিচ’ শিরোনামে আয়োজিত বিজনেস আইডিয়া প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুইরেন্স বিভাগের উদ্যোগের আয়োজিত হয়েছে এ প্রতিযোগিতা।
শনিবার (২৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মোট আটটি টিম ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের টিম ক্রোমা, প্রথম রানার্স আপ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ক্যাটকিনস এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের টিম মোনার্কি ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের টিম আমিগো যৌথভাবে ২য় রানার্স আপ হন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন নিজামী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের শিক্ষকদের গবেষণাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য এই বিজনেস আইডিয়া প্রতিযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আমি মনে করি। আমার বিশ্বাস এসব আইডিয়া আমাদের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারবে।
তিনি বলেন, আমরা যদি সমাজ এবং দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে চাই তাহলে নতুন নতুন আইডিয়া তৈরি করার কোনো বিকল্প নেই। এসমস্ত আইডিয়া তৈরির জন্য তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। আমরা তাদের দিকেই চেয়ে আছি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন রাজনীতি বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ থেকেও নিজেদের দূরে সরিয়ে নিচ্ছে। এটি বর্তমান সময়ে একটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ নয়। শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি রাজনীতি ও নানা গঠনমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে নিজেদের এবং দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ইসি কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি চিটাগং’র (ইউএসটিসি) ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কনফিডেন্স সিমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ এবং স্টার্টআপ চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা আরাফাতুল ইসলাম আকিব। অনুষ্ঠানটির কনভেনর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান তাসলিমা আক্তার।
এছাড়াও, অনুষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাধারণ পরিচালক এবং ইনোভেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আতকিয়া সুবাত, মোঃ আছির চৌধুরী এবং মোঃ খালেদ ইকবাল।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৪ জুন শুরু হয়ে ৭ জুন শেষ হয় প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব। এতে প্রাথমিকভাবে ৮০ টিরও বেশি টিম অংশগ্রহণ করে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।