চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের বাসভবন ও পরিবহন দপ্তরে ভাংচুরের মামলা থেকে বাংলা বিভাগের ২ শিক্ষার্থীকে অব্যাহতির দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। মামলার আসামী বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী হলেন ৫৪তম ব্যাচের ‘অনিরুদ্ধ বিশ্বাস রুদ্র ও মো. আজিমুজ্জামান।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধনটি।
মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দিন বলেন, গত ৭ তারিখ শাটল ট্রেনের দুর্ঘটনায় আমাদের বন্ধু আজিমুজ্জামান ও অনিরুদ্ধ বিশ্বাস কে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। আমরা দু’জনকেই ব্যাক্তিগতভাবে চিনি। দুর্ঘটনার দিন আজিমুজ্জামানকে আহত শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে দেখা গেছে। সে ভাঙচুরের ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত নয়। তারপরও তাকে মামলা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অনিরুদ্ধ বিশ্বাস ক্যাম্পাসে পরিচিত মুখ। তার রেজাল্ট অনেক ভালো। সে এ ধরণের ধ্বংসাত্মক কাজের সাথে জড়িত থাকতে পারে না। আমরা চাই প্রশাসন যাতে অনতিবিলম্বে মিথ্যা মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়।
একই বিভাগের ১৯ -২০ সেশনের শিক্ষার্থী শাওন ফারাবি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন ধরনের সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়ায় মামলা দিয়েছে। সেদিন ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করায় আজ তাদের সামাজিক ভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল্যবান সম্পদ ভাঙচুর করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক এটা আমরাও চাই কিন্তু সেটা হতে হবে সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে।তাই নিরপরাধ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামাজিক হেনস্তার হাত থেকে রক্ষা করে অতি দ্রুত মামলা প্রত্যাহার দাবি জানায় প্রশাসনের নিকট।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.নুরুল আজিম শিকদার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করে। এসময় চবি প্রক্টর বলেন, সুষ্ঠু আন্দোলনের ব্যাপারে আমাদের কোন দ্বিমত নেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যারা সেদিন ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এই কাজে যাদের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই আমরা তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করাটা আমাদের দায়িত্ব। তোমাদের সাথে আমরা সর্বদা আছি এবং আমরা এটা নিয়ে কাজ করতেছি, তোমরা আমাদের সহযোগিতা করলে আসল দোষীকে চিহ্নিত করা সহজ হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে শাটল ট্রেনের ছাদে যাতায়াত করতে গিয়ে গাছের আঘাতে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হন। এর পরপরেই শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এর মধ্যে আহত একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে জিরো পয়েন্টে অবস্থিত পুলিশ বক্স, উপাচার্যের বাসভবন, পরিবহন দপ্তরে ও শিক্ষক ক্লাবে ব্যপক ভাঙচুর চালায়৷ এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।