চবিতে শেষ হলো আন্তর্জাতিক ম্যারাথন ‘সেইলর চট্টগ্রাম ২৫ কিলো রান ২০২৩’

রান বাংলাদেশের আয়োজনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সেইলর চট্টগ্রাম ২৫ কিলোমিটার রান ২০২৩’। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ থেকে শুরু হয় এ ম্যারাথন। প্রতিযোগিরা পুরো ক্যাম্পাস তিনবার প্রদক্ষিণ করে ২৫ কিলোমিটার পাড়ি দেন।

ম্যারাথন শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, চাকসুর সাবেক ভিপি মজহারুল হক শাহ চৌধুরী।

অধ্যাপক ড. শিরীণ আখ্তার বলেন, রান বাংলাদেশের আয়োজনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এমন একটি ইভেন্ট হওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। তেইশশো একরের এ সবুজ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত প্রতিযোগিদের জানাই অভিনন্দন। বারবার এমন আয়োজন হোক আমি এটাই প্রত্যাশা করবো। আমরা এ আয়োজনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা ও সহযোগিতা করেছি। যেহেতু আমরা বলেছি ম্যারাথন হবে, তাই এটা হয়েছে। যদিও এটা বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছিল।

প্রতিযোগিতায় ৫, ১০ এবং ২৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশসহ ১২টি দেশের মোট ৬৫০ জন। অংশ নেওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, কানাডা, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, রাশিয়া এবং যুক্তরাজ্যের (ওয়েলস)।

৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে প্রথম হয়েছে নুরুল আলম, দ্বিতীয় মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন এবং তৃতীয় মো. আব্দুর রাজ্জাক। মেয়েদের মধ্যে প্রথম ইসরার জাহান ইপতি, দ্বিতীয় মৃত্তিকা দাস এবং তৃতীয় আনকন শ্রেষ্ঠা।

১০ কিলোমিটার ম্যারাথনে প্রথম গোলাম রাহাত তোফায়েল, দ্বিতীয় শেখ নাহিদ উদ্দিন এবং তৃতীয় মো. গোলাম রব্বানী। মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্নেহা জান্নাত, দ্বিতীয় আফসানা হালিমা এবং তৃতীয় রিয়া ইভান্স।

২৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে প্রথম খন্দকার কিবরিয়া, দ্বিতীয় মো. ইমন হোসাইন এবং তৃতীয় শাহিন আলম। মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্টেফানি চেসম্যান, দ্বিতীয় নারগিস জাহান ওহাব এবং তৃতীয় সাদিয়া আক্তার রিনা।

ম্যারাথনে টাইটেল স্পন্সর ছিলো সেইলর। এছাড়া ডানো, ফ্রেশ, আমা কফি, হালদা ভ্যালি কো-স্পন্সর হিসেবে যুক্ত ছিলো। মেডিক্যাল পার্টনার ছিলো মেডিসিন ক্লাব। ভলেন্টিয়ার সহযোগী হিসেবে ছিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাইক্লিং, রানার্স এবং এডভেঞ্চার ক্লাব। ইভেন্টের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। মিডিয়া পার্টনার ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।