চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগ কর্মী কর্তৃক ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের হুমকির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুর দুইটায় উপাচার্য কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকালে প্রক্টরিয়াল বডিকে এ নির্দেশ দেন উপাচার্য।
এসময় তিনি বলেন, ছাত্রলীগ-সাংবাদিক উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। হলে অবস্থানরত একজন আবাসিক শিক্ষার্থী আরেকজনের সাথে এ ধরণের আচরণ করা শিক্ষার্থীসুলভ নয়। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি প্রক্টরিয়াল বডিকে নির্দেশ দিয়েছি।
উপাচার্য আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিক এবং ছাত্রলীগ উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আমি আশা করি তারা একে অপরের সাথে শিক্ষার্থীসুলভ আচরণ করবে।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। সাংবাদিকদের হুমকির ঘটনায় অভিযুক্ত ৯ জনের বিভাগে খবর পাঠানো হয়েছে। তাদের কাগজপত্রগুলো আমাদের হাতে আসলেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।
তিনি বলেন, আমরা জেনেছি যে অভিযুক্তদের মধ্যে দু-একজনকে আগেও বিভিন্ন বিষয়ে শোকজ করা হয়েছিলো। উপাচার্য মহোদয় আমাদেরকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলেছেন ৷ এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করবো। তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শোকজ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ, রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে তাদের শাস্তির বিষয়ে।
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলে শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের নেতা ইলিয়াসের অনুসারী বেশ কয়েকজন কর্মী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সভাপতি সাইফুল ইসলামের কক্ষে গিয়ে সাংবাদিকদের হল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন। এসময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন তারা। এসময় তারা বলেন, “এই হল আমাদের। হল আমরা লিজ নিছি। যখন ইচ্ছা তোদেরকে হল থেকে বের করে দেব৷ এই রুম যদি তোদের হয় পুরা হল আমাদের। কি করবি তোরা? নিউজ করবি? কর। আমরা সাংবাদিক- প্রক্টর খাই না৷”
এ নিয়ে গত রোববার (১৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।