চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অডিটোরিয়াম ব্যবহার নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রশিবির ওই স্থানে প্রোগ্রাম করলেও অনুমতি পায়নি ইসলামী ছাত্র মজলিশ।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে শিবির মিটস্ ব্রিলিয়ান্স নামে একটি অনুষ্ঠান করেছে ছাত্রশিবির।
তবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিশকে একই অডিটোরিয়াম ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন সংগঠনটির সভাপতি সাকিব মাহমুদ রুমি। অন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী ‘মাতৃভাষা জিজ্ঞাসা ও নবীন বরণ’ অনুষ্ঠান করার জন্য সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়াম ব্যবহারের অনুমতি নিতে গিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু রাজনৈতিক সংগঠন হওয়ায় ছাত্র মজলিশকে অডিটোরিয়াম ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়নি—এমনটাই অভিযোগ সাকিব মাহমুদ রুমির।
তিনি বলেন, আমরা আজকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিনের কাছে অডিটোরিয়াম ব্যবহারের অনুমতির জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু রাজনৈতিক সংগঠন হওয়ার কারণ দেখিয়ে তারা আমাদেরকে অডিটোরিয়াম ব্যবহারের অনুমতি দেননি। অথচ আমরা দেখেছি আজকেই ছাত্রশিবির সমাজবিজ্ঞান অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান করেছে। কর্তৃপক্ষ ছাত্রশিবিরকে অনুমতি দিলেও আমাদের অনুমতি দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন স্যারকে ছাত্রশিবিরের প্রোগ্রামের কথা বললে ছাত্রশিবির অন্য নামে অডিটোরিয়াম ভাড়া নিয়েছে বলে তিনি আমাকে জানান। এবং একইভাবে আবেদন করার পরামর্শ দেন। কিন্তু এভাবে অডিটোরিয়াম নেয়াটা আমার সংগঠনের নীতি-নৈতিকতার সাথে যায় না। ছাত্রশিবির যদি নিজেদের নামে অডিটোরিয়াম না নিয়ে ছল চাতুরি করে তাহলে এটা তাদের নীতি-নৈতিকতার ব্যাপার। অপরদিকে কর্তৃপক্ষ যদি আমার সাথে মিথ্যা কথা বলে তাহলে এটা প্রশাসনের দায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন মজুমদার বলেন, ছাত্রশিবির আমার কাছে একবার অনুমতি নিতে এসেছিলো। আমি তখন অনুমতি দিইনি৷ পরে একটি সামাজিক সংগঠন আমার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলো। কিন্তু এক সংগঠনের নামে অনুমতি নিয়ে যে অন্য সংগনের প্রোগ্রাম করবে সেটা আমার জানা ছিল না। এটা আইনত অপরাধ। আমি এ বিষয়ে খোঁজ নেব। ঘটনার সত্যতা পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানাব। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জানতে চাইলে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আমরা ১০ দিন পূর্বে ভেন্যু কনফার্ম করেছিলাম। পরবর্তীতে গতকাল লিখিতভাবে অনুমতি নিতে গেলে কর্তৃপক্ষ অপারগতা প্রকাশ করে। কিন্তু সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ায় মোখিকভাবে সংগঠনের অনুমতি এবং লিখিতভাবে আমাদের পাবলিকেশনের নামে লেখক সম্মাননা ও প্রোগ্রামের অনুমতি গ্রহণ করেছি।
এ সময় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরনের সংগঠনের জন্য সকল অডিটোরিয়াম উন্মুক্ত রাখার দাবি জানান তিনি।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।