চবির ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত সাইফুলও র‌্যাবের জালে

আটক ৫ জনের তিনজনই বহিরাগত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক ছাত্রীকে শারীরিক হেনস্তা ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় সাইফুল নামের আরও এক আসামিকে আটক করেছে র‌্যাব। এ নিয়ে র‌্যাবের হাতে আটক হলো ৫ আসামি।

শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন র‍্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আফসার। তিনি বলেন, ‘রাতে অভিযান চালিয়ে চবির শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় আমরা ৪ জনকে গ্রেফতার করেছি। শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকা থেকে সাইফুল নামে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা ৫ আসামিকে আটক করেছি।

গ্রেফতার যৌন নিপীড়করা হলো- চবির ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র মোঃ আজিম (২৩), নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র মোঃ নুরুল আবছার বাবু (২২), হাটহাজারী কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র মোঃ নুর হোসেন শাওন (২২), এবং হাটহাজারী কলেজের অর্নাস এর ২য় বর্ষের ছাত্র মোঃ মাসুদ রানা। চার জনের সাথে যুক্ত হলো সাইফুল। সাইফুল হাটহাজারী কলেজের শিক্ষার্থী।

এর আগে শুক্রবার রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘন্টা ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালানো হয়। জড়িতদের একজন হলে অবস্থান করছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি করা হলেও পরে সেখান থেকে কাউকে পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন এলাকায় ৫ জন দুর্বৃত্তের হাতে শারীরিক হেনস্তার শিকার হন এক ছাত্রী। ওই সময় তার সাথে থাকা তার বন্ধুকেও মারধর করা হয়৷ ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাদের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ।

পরে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে ৫ সদস্যবিশিষ্ট এক তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা জনকে আসামি করে থানায় মামলাও করেছেন ওই ছাত্রী।

যৌন নিপীড়নের এ ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনে উত্থাল হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছাত্রী হেনস্তা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বৃহস্পতিবার দিনভর শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সংগগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ-মিছিল করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।