চবির নতুন কলা ভবনে বিভাগ স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নবনির্মিত কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে কোন কোন বিভাগ বরাদ্ধ পাবে তা জানা যাবে আগামীকাল। এ লক্ষ্যে অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের সভাপতিদের নিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সভা আহ্বান করেছেন অনুষদটির ডিন।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেছেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মহিবুল আজিজ।

তিনি বলেন, নতুন কলা ভবনে কোন কোন বিভাগ আগে প্রবেশ করবে এ নিয়ে আগামীকাল সভার আয়োজন করেছি। আমরা অনুষদের পুরাতন বিভাগগুলোকে আগে পাঠানোর একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। বাকিটা সভায় চূড়ান্ত হবে।

নতুন ভবনে কবে নাগাদ একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনো কিছু ভাবিনি। আগামীকালের সভায় নতুন ভবনে কোন কোন বিভাগ প্রথমে যাবে এ সিদ্ধান্ত হবে৷ পরবর্তীতে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের দ্বিতীয় ভবনের (ষষ্ঠ একাডেমিক ভবন) দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০১৬ সালের ২৮ অগাস্ট। জিকেবি এন্ড কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড লিড ফার্ম হিসেবে এবং দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েটস লি. পার্টনার ইনচার্জ হিসেবে দরপত্রে অংশ নেয়।

ওই কাজের জন্য প্রথম নিম্ন দরদাতা হয় দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জিকেবিএল (জেভি)। তাদেরকে ৭৫ কোটি টাকার এই কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয় ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর। ২০১৮ সালের নভেম্বরে নির্মাণ কাজ শেষের সময় নির্ধারিত ছিল।

দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জিকেবিএল (জেভি) নামে কাজ শুরু হলেও দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্সই শুরু থেকে কাজটি করছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল, একই বছরের ৩০ জানুয়ারি এবং ২০২০ সারের ৩০ এপ্রিল ও একই বছর ৩১ ডিসেম্বর এবং সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৪ জুলাই মোট পাঁচবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

সর্বশেষ বাড়ানো মেয়াদে গত বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়। কিন্তু সর্বশেষ বর্ধিত সময়েও কাজ শেষ হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবনের যতটুকু কাজ শেষ হয়েছে তারমধ্যেই একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এসআর/এফএম

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।