চবির যৌন নিপীড়ন সেলে আরও ৩ অভিযোগ, কাটগড়ায় এক শিক্ষকও

সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ঘটে যাওয়া ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন ৫ জন। ঘটনার সাথে জড়িত দুই চবি ছাত্রকেও আজীবনের জন্য বহিস্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে যৌন হেনস্তার ঘটনায় শিক্ষার্থীদে তীব্র আন্দোলনের পরেই নড়েচড়ে বসেছে চবির যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল। সেলে জমা থাকা পূর্বের ৩টি অভিযোগ নিয়েও কাজ শুরু করেছে তারা। এই ৩ টি অভিযোগে অভিযুক্ত আছেন মোট ৬ জন।

৩ টি অভিযোগের একটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকও অভিযুক্ত আছেন বলে জানা গেছে। শিক্ষা সফরে গিয়ে একজন শিক্ষার্থীর সাথে ওই শিক্ষক বাজে আচরণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

রোববার (২৫ জুলাই) রাতে বিষয়গুলো চট্টগ্রাম খবরকে জানিয়েছেন যৌন নিপিড়ন বিরোধী সেলে সদস্য সচিব অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান।

তিনি বলেন, ‘আগের তিন অভিযোগ নিয়েও আমরা পুরোদমে কাজ শুরু করেছি। কিছু বিষয়ের সত্যতা পেয়েছি, কিছু ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তবে অভিযুক্ত মানেই তো অপরাধী না তাই কিছু বলা যাচ্ছে না। শীঘ্রই তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হবে। তখন বুঝা যাবে যে কে অপরাধী আর কে অপরাধী না।

তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে যৌন নিপিড়ন সেল কাজ শুরু করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কাজ শুরু করেছি বিষয়টা এমন না। আসলে করোনাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমরা কাজ এগিয়ে নিতে পারি নি। এখন করোনার প্রভাব তেমন নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ও স্বাভাবিকভাবে চলছে। তাই আমরা এখন কাজ করতেছি।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন এলাকায় ৫ জন দুর্বৃত্তের হাতে শারীরিক হেনস্তার শিকার হন এক ছাত্রী। ওই সময় তার সাথে থাকা তার বন্ধুকেও মারধর করা হয়৷ ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাদের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ।

পরে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে ৫ সদস্যবিশিষ্ট এক তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা জনকে আসামি করে থানায় মামলাও করেছেন ওই ছাত্রী।

যৌন নিপীড়নের এ ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছাত্রী হেনস্তা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বৃহস্পতিবার দিনভর শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ-মিছিল করেন।

এসময় আন্দোলনকারীরা অকার্যকর যৌন নিপিড়ন বিরোধী সেল ভেঙে নতুন করে কার্যকর যৌন নিপিড়ন বিরোধী সেল গঠনের দাবি জানান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।