চবির শাটল ট্রেনে চলছে ফ্যান, শিক্ষার্থীদের স্বস্তি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে পাওয়ার কার সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে করে শাটল ট্রেনের বগিগুলোর ভেতরে থাকা ফ্যানগুলোকে চালানো সম্ভব হচ্ছে। এদিকে শাটল ট্রেনের ভেতরে ফ্যান চলাতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

জনা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শাটল ট্রেনে ফ্যান চালানোর ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে আসতেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরকে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করতেও দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তাহের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই শাটল ট্রেনে পাওয়ার কার যুক্ত করার ব্যাপারে কাজ শুরু করেন। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে। অবশেষে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দীর্ঘদিন ধরে চলমান প্রক্রিয়াটি আলোর মুখ দেখে।

শাটল ট্রেনে পাওয়ার কার যুক্ত হওয়াতে স্বস্তি প্রকাশের পাশাপাশি দ্বিতীয় শাটল ট্রেনেও পাওয়ার কার যুক্ত করা ও শাটলের শিডিউল বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

আরেফিন জানে আলম নামে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষার্থীরা শাটল ট্রেনে ফ্যান চালানোর দাবি জানিয়ে আসতেছিল দীর্ঘদিন ধরে। অবশেষে বর্তমান প্রশাসন তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক একটি বিষয়। তবে দুটি শাটল চললেও মাত্র একটিতে পাওয়ার কার লাগানো হয়েছে। অথচ দুটি শাটলেই প্রচুর শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। তাই বাকি শাটল ট্রেনটিতেও পাওয়ার কার যুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।

বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, শাটল ট্রেনে পাওয়ার কার লাগানো হয়েছে এটি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিন যে পরিমাণ শিক্ষার্থী যাতায়াত করে তার তুলনায় শাটল ট্রেনের সিডিউল সংখ্যা অনেক কম। এতে করে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমরা দাবি জানাবো শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে ট্রেনের সিডিউল যেন বৃদ্ধি করা হয়।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীরাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। শাটল ট্রেনে পাওয়ার কার যুক্ত করার জন্য রেলওয়ের সাথে যোগাযোগ করতেছিলাম অনেকদিন ধরে। অবশেষে একটি শাটল ট্রেনে আমরা পাওয়ার কারের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আরেকটি ট্রেনেও পাওয়ার কার যুক্ত করার চেষ্টা করতেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় রুটে নতুন একটি ট্রেন দেওয়ার জন্য সাত হাজার শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর উপাচার্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠিয়েছি। শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা বিবেচনায় আমরা সবসময়ই চেষ্টা করে যাব।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।