চবির সেই কর্মকর্তাকে ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগেই ছেলের ফলাফল ফেইসবুকে পোস্ট করা সেই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২২ মে) তাকে শোকজ করা হয়। এছাড়াও তাকে ‘ডি’ ইউনিটের ২য় শিফটের পরীক্ষার নির্ধারিত ডিউটি পালন করতে দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদ। তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তামে আমরা শোকজ করেছি। তিন কর্মদিবসের মধ্যে কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাবের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিউটি পালন করতে না দেয়ার ব্যাপারে ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, পরীক্ষার আগে থেকে কর্মকর্তাদের ডিউটি বন্টন করে দেয়া হয়ে থাকে। সে হিসেবে ওই কর্মকর্তা আজকে পরীক্ষার সকালের শিফটে নির্ধারিত ডিউটি পালন করেছে। কিন্তু বিকেলের শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের প্রতিনিধিরা তাকে ডিউটি করতে মৌখিকভাবে নিষেধ করলে তিনি আর ডিউটি করেননি।

এর আগে, রোববার (২১ মে) সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটের দিকে তার ছেলে ‘এ’ ইউনিটে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছেন জানিয়ে নিজের ফেইসবুক একাউন্টে পোস্ট করেন। যার স্ক্রিনশর্ট এবং চবির ওই কর্মকর্তার মন্তব্যসহ ‘এ’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের আগেই ছেলের ফল পেয়ে গেলেন চবি কর্মকর্তা! শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক চট্টগ্রাম খবর। যদিও পোস্ট করার কিছুক্ষণ পর তিনি আবার সেটি ডিলিট করে দেন।

ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেন,“আলহামদুলিল্লাহ আমার ছেলে আবীর চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের A Unit(সায়েন্স ফ্যাকাল্টি) ভর্তি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১৬৯৬ এবং কোটা তালিকায় ৩য় হয়েছে। সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।”

অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘুরে ফলাফল প্রকাশের কোনো সূত্রই খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল তখনও ফলাফল প্রকাশ করেননি বলে জানিয়েছেন।

এদিকে আজ সকালে চবির ‘এ’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা গেছে, প্রকাশিত ফলাফলের সাথে মিলেছে ফেসবুকে দেওয়া তথ্যেরও। মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর ছেলে আবীর চৌধুরী ‘এ’ ইউনিটে ১ হাজার ৬৯৬তম হয়েছেন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৮৮.৭৫।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।