‘চবি ইনোভেশন হাব’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ‘ইনোভেশন হাব’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৮ অক্টোবর) ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এটি উদ্বোধন করেন।

এ সময় চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ অডিটরিয়ামে উপস্থিত থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। উদ্বোধন শেষে চবি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) ‘চবি ইনোভেশন হাব’ এর নামফলক উন্মোচন করেন। এছাড়াও এ উপলক্ষে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর পর চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদের সভাপতিত্বে ‘Why Startup matter? A journey of successful entrepreneur’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ডিইআইইডিপিয়ের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. মো. বিল্লাল হোসেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্মার্ট ইউনিভেটর প্রোগ্রামের কৌশলগত পরামর্শক ড. অনন্য রায়হান। অনুষ্ঠানে চবি ইনোভেশন হাব এর উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এদিন ‘শেখ রাসেল দীপ্তময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে চবির উদ্যোগে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২৩’ উদযাপিত হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে শেখ রাসেলের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এতে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখ্তার বলেন, ‘মানুষ কতটা পৈশাচিক হলে একটি কোমলমতি-নিস্পাপ, ছোট্ট শিশুকে হত্যা করতে পারে তার জলন্ত উদাহরণ হলো শিশু রাসেল হত্যা। যারা ছোট্ট শিশু শেখ রাসেল সহ জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তারা নরকের ঘৃণ্য কীট। এ সকল কুলাঙ্গারদের ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। শিশু রাসেল বেঁচে থাকলে তাঁর কর্মের দ্বারা বাঙালি জাতির ইতিহাসে উজ্জ্বল অবদান রাখতেন। কারণ শিশু বয়সে শেখ রাসেলের ব্যক্তিত্বের মাধ্যমেই তা প্রকাশ পেয়েছিল।

উপাচার্য আরও বলেন, শেখ রাসেল বাঙালি জাতির হৃদয়ের মণিকোটায় আজীবন বেঁচে থাকবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, অনুষদ সমূহের ডিন, চবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, হলসমূহের প্রভোস্ট, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, চবি প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, চবি অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।