চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতার ওপর হামলাকারী দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। জালাল ও ইমন নামে এ দু’জনকে ফতেপুর ও মিরেরহাট বাজারস্থ চন্দ্রপুর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম শুক্রবার (৩ জুন) সকালে জানায়, গত ৩১ মে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের উপগ্রæপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় এবং সাবেক নেতা রাশেদ হোসাইন মোটরসাইকেলযোগে হাটহাজারী থানাধীন ১১ নং ফতেপুর মদনফকির মাজারের সামনে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলের পাশে ওঁৎ পেতে থাকা জালাল, ইমন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন আসামি লোহার রড, হকিস্টিক,ক্রিকেট স্টাম্প, লোহার চেইন, লাঠিসোঁঠাসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে এবং প্রদীপকে লক্ষ্য করে ১ রাউন্ড গুলি করে।
এ সময় তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় ও রাশেদ হোসাইনকে গুরুতর জখম অবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় প্রদীপের ছোট ভাই বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় ৮ জন সুনির্দিষ্ট এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়, ঘটনার পর হতে আসামিরা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। র্যাব-৭ জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে খবর নিয়ে জানতে পারে এজাহারনামীয় ৪ নং আসামি জালাল উদ্দিন জোবায়ের (৩০) হাটহাজারী থানাধীন ফতেপুর এলাকায় ও ৬ নং আসামি মো. ইমন (২৪) মিরেরহাট বাজারস্থ চন্দ্রপুর এলাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাবের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে। ইমন হাটহাজারী বখতিয়ার ফকিরের বাড়ির মো. রফিকের পুত্র এবং জালাল হাটহাজারী বলিটিলা মো. ফরিদ আহাম্মদের পুত্র।
গ্রেফতারের পর উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আসামিরা উল্লিখিত ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে। তাদের সিডিএমএস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় মাদক সংক্রান্ত ২ টি এবং ইমনের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় মাদক এবং নারী ও শিশু নির্যতন সংক্রান্ত ২ টি মামলা রয়েছে।
আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।