চবি শিক্ষার্থীদের ঈদযাত্রা—২ আন্তঃনগর ট্রেনকে রাখা হলো অপেক্ষায়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের ফলে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে চরম ভোগান্তির সম্মুখিন হতে হয়েছে। তারা সবাই ঈদে বাড়ি যাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার (১২ জুন) চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া তূর্ণা নিশীতা ও পর্যটক এক্সপ্রেস মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন যাত্রী ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) স্টেশন থেকে রাত রাড়ে নয়টায় ছেড়ে যাওয়া শাটল ট্রেন বটতলী স্টেশনে পৌঁছানোর পর পর্যটক এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীতা ধরার পরিকল্পনা ছিল তাদের। তবে মাঝপথে আমিন জুট মিল এলাকায় নাজিরহাটগামী একটি লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে বাধে বিপত্তি।

জানা গেছে, শহর থেকে নাজিরহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি লোকাল ট্রেন আমিন জুট মিল এলাকায় এসে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। যার ফলে নাজিরহাট থেকে শহরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ডেমু ট্রেনটিকে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয়। পাশাপাশি সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন থেকে শহরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা শাটল ট্রেনটিকেও প্রথমে ফতেয়াবাদ ও পরে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন এলাকায় অপেক্ষা করতে হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা ঢাকাগামী ট্রেন ধরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় শাটল ট্রেনটিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতি অবহিত করলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পর্যটক এক্সপ্রেস, তূর্ণা নিশীতাকে শিক্ষার্থীরা স্টেশনে পৌছানো পর্যন্ত অপেক্ষা করার ব্যবস্থা করেন।

পরে নাজিরহাটগামি ট্রেনটির ইঞ্জিন সচল হওয়ার পর ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে আসলে স্টেশনে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা ডেমু ট্রেনটি শহরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা শাটল থেকে নেমে ডেমু ট্রেন ব্যবহার করে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে পৌঁছানোর পর পর্যটক এক্সপ্রেস, তূর্ণা নিশীতা চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। এছাড়া প্রথম দুটি ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় ঢাকা মেইলও দেরিতে চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাটল ট্রেনটিতে থাকা চবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থ প্রতীম বড়ুয়া বলেন, শাটল ট্রেন ফতেয়াবাদ এসে আটকে পড়ার কারণে শিক্ষার্থীরা ঢাকাগামী ট্রেন ধরতে পারবে কিনা তা নিয়ে খুবই উদ্বীগ্ন হয়ে পড়েছিল। আমি সাথে সাথেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে প্রশাসন বিষয়টি আমলে নেয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ঢাকাগামী ট্রেনগুলো দেরিতে ছাড়ার ব্যবস্থা করে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ডেমু ট্রেনে উঠার নির্দেশনা দিলে আমি শিক্ষার্থীদেরকে শাটল থেকে নামিয়ে ডেমু ট্রেনে তুলে দিই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা জানতে পারার সাথে সাথেই আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ খুব আন্তরিকতার সাথে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ঢাকাগামী ট্রেনগুলোকে দেরিতে ছাড়ার ব্যবস্থা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে পৌঁছানোর পরে ঢাকাগামী ট্রেনগুলো ছেড়ে যায়। আশাকরি সব শিক্ষার্থীই ট্রেন ধরতে পেরেছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।