চবি সিন্ডিকেটের তথ্য ফাঁস, কেউই জানেন না কোন কথা!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার যেন ইতি নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নতুন নতুন কার্যকলাপ, অনিয়ম প্রতিনিয়ত রসদ জোগাচ্ছে সমালোচনার। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪৪তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগের রাতেই ঘটেছে পদোন্নতি সংক্রান্ত বেশকিছু সিদ্ধান্তের তথ্য ফাঁসের ঘটনা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না কেউ। সবার ভাব এমন যেন—কেউ কোন কথাই জানেন না !

সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাউন্সিল শাখার সেকশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল আসাদের বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক বশির আহাম্মদ নিজেই কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তার কাছে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে তিনি এতকিছু বলতে পারবেন না বলে এড়িয়ে যান।

তদন্ত কমিটিতে তার সাথে আর কে কে আছেন এমন প্রশের জবাবে একজনকে সচিব হিসবে রাখা হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক বশির। তবে কাকে সচিব হিসেবে রাখা তার নাম বলেননি তিনি। এছাড়া তদন্ত কমিটির বিষয়ে চিঠি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিঠি আসছে, ডিপার্টমেন্টে আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার নগরীর চারুকলা ইনস্টিটিউটে সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সিন্ডিকেটের ৫৪৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় অর্ধশতাধিক অ্যাজেন্ডার ওপর আলোচনা হয়। তবে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি সংক্রান্ত বেশকিছু সিদ্ধান্ত আগেরদিন মধ্যরাতে ফাঁস হয়ে যায়।

রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাউন্সিল শাখার সেকশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল আসাদ পদোন্নতি প্রাপ্ত বেশ কয়েকজনকে মধ্যরাতে অভিনন্দন জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান বলে অভিযোগ উঠেছে। পদোন্নতি প্রাপ্ত অন্তত পাঁচজন আগের রাতে আসাদের অভিনন্দন বার্তা পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

মুঠোফোনে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদ কোনোকিছু বলতে পারবেন না বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।