বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, ‘আমিন জুটমিল দুই বছর ধরে বন্ধ আছে। এই মিলটি একেবারের শহরের মাঝখানে। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা যদি বলে যে এখানে মিল থাকতে পারবে না অথবা যদি বলে থাকবে—তাহলে মিল লিজ দিয়ে চালু করা হবে।’
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর আমিন জুটমিল পরিদর্শন ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মিল চালুর বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে একথা বলেন মন্ত্রী। এর আগে বেলা ১২টার দিকে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী আমিন জুটমিলে পৌঁছান। এসময় বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) ও আমিন জুট মিলের কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এসময় আমিন জুটমিলের মহাব্যবস্থাপক এএইচএম কামরুল হাসান, ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আলাউদ্দিন পাটোয়ারী, ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মিলজার হোসেন এবং কর্মকর্তা মো জহির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী আমিন জুট মিলের বিভিন্ন কার্যক্রম সরেজমিনে দেখে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে করেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বেসরকারি খাতে ইজারা দেওয়ার জন্য শর্ত সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইজারা নিতে আগ্রহীদের চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে ইজারার শর্ত সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। তা শেষ হতে আরও ১৫ দিনের মতো লাগবে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের তো একটা মার্কেট আছে, বিদেশি মুদ্রা আয় করি আমরা। আমরা চিন্তা করছি যে যত তাড়াতাড়ি পারি, মিলগুলো যেন চালু করা যায়। সোজা রাস্তা হল ইজারা ভিত্তিতে। তিনটি মিল তিনজন লিজগ্রহীতা চালু করেছেন। আরও তিনটি চালুর পর্যায়ে আছে।
৯৮ শতাংশ শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, টাকাপয়সা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৯৮ শতাংশ শ্রমিকের টাকা আমরা দিয়ে দিয়েছি। হ্যাঁ, কিছু শ্রমিক এখনো টাকা পায়নি, সেটা অন্য সমস্যা। কিছু আছে মামলাজনিত এবং পরিচয়পত্রে ভুল। টাকা আমাদের কাছে আছে, মন্ত্রণালয়েই আছে। আমি নির্দেশ দিয়েছি— যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইনগত জটিলতা সমাধান করে এবং আইডি কার্ডগুলো সংশোধন করে টাকা দিয়ে দাও। এটা মানবিক একটা বিষয়।’
বন্ধ করে দেওয়া ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের সবগুলোই লিজের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এর মধ্যে ১০টির মতো মিলের লিজের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শর্ত সংশোধন হলে লিজ নিতে ইচ্ছুক ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে আগ্রহী হবেন বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।