চাঁদা না পেয়ে হত্যা চেষ্টা, আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন প্রিমিয়ারের শিক্ষার্থীর

একই পরিবারের চার পুরুষ চমেকে ভর্তি

গ্রামের বাড়িতে উন্নয়নমূলক করতে গিয়ে স্থানীয় মাস্তানদের চাঁদা না দেওয়ায় হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আফতাব মাহমুদ ফাহিমের হাতের আঙ্গুল শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একই ঘটনায় তার ভাই তৌকি তাজওয়ারের হাতের কব্জি ভেঙ্গে গেছে। তাদের পিতা ও জেঠা আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় সীতকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত আজম খান ও তার দুই ছেলে চট্টগ্রাম শহর থেকে গুলিয়াখালী গ্রামে পৌঁছা মাত্রই অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম কাজল ও খাইরুল ইসলাম বাদশা লোহার রড ও দেশীয় তৈরী অস্ত্র নিয়ে হামলে পড়ে।

ভিকটিম আজম খান চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, চলতি শুষ্ক মৌসুমে আমরা গ্রামের বাড়িতে মাটি ভরাট করেছি। তারা তখন কাজ চেয়েছিল। তারা যেহেতু কাজের লোক নয় আমরা কাজ দেইনি। এরপর যখন বাড়ীর সীমানা প্রাচীর করেছি তখনও কাজের ইজারা নিতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের নেই মিস্ত্রী, নেই সরঞ্জাম। আমরা তাদের কাজ দিই নাই।

তিনি আরও বলেন, কাজ না দেওয়ারা তারা আমার ভাই নুরুল আমিনকে মারধর করেছে। মেরে তিন লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছে। চাঁদা না দিলে আমাদের জানে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে। আজ দুপুরে আমরা বাড়ে পৌঁছা মাত্রই আমাদের ওপর হামলে পড়ে। আমার পুরো শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। আমার বড় ছেলের হাত থেকে আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ছোট ছেলের হাতের কব্জি ভেঙ্গে গেছে।

জানা গেছে, আজম খান, তার বড় ভাই নুরুল আমিন, আজম খানের দুই ছেলেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়। তারা বর্তমানে চমেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, গুলিয়াখালী থেকে আহত অবস্থায় চারজন থানায় এসেছিলেন। তাদেরকে সীতাকুণ্ড থেকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা আগে চিকিৎসা নিতে বলেছি। তারপর অভিযোগ নেবো। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা আইনী ব্যবস্থা নেবো।

জানা গেছে, হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা কারাভোগ করে জামিনে এসে চাঁদাবাজিসহ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বিরোধী বিভিন্ন কাজে জড়িত।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।