চাকরি ফিরে পেলেন সেই কামরুল, সাথে বেতনও

গৃহস্থালী পণ্যের চালানে ‘আগ্নেয়াস্ত্র’ পাওয়ার ঘটনায় চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১এর কর্মচারী মজুমদার কামরুল হাসান চাকরি ফেরত পেয়েছেন। সাথে বরখাস্তকালীন সময়কে কর্মকাল হিসেবে করে তিনি বেতনও পাচ্ছেন।
সোমবার (২২ মে) চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এর কম কমিশনার কাজী লতিফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ধারা ৩৯ (২) মোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আদালত কর্তৃক নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় তাকে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ধারা ৪২ (৫) মোতাবেক চাকরিতে পুনর্বহালসহ বরখাস্তকালীন সময়কে কর্মকাল হিসেবে গণ্য করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছর ২০ ফেব্রুয়ারি ইতালি থেকে রাজীব বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তি কামরুলের ঠিকানায় গৃহস্থালী পণ্য পায়। কাস্টম কর্তৃপক্ষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেই চালান খুলে দুটি ‘আগ্নেয়াস্ত্র’ ও দুটি খেলনা পিস্তল জব্দ করে।
এ ঘটনায় পরদিন কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে বন্দর থানায় মামলা করেন। ওই রাতেই হালিশহরে আই ব্লক খালপাড় এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে মজুমদার কামরুল হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রাজিব বড়ুয়া রাউজানের উড়কিরচর ইউনিয়নের আবুরখীলের উত্তর ঢাকাখালী গ্রামের ফণিভূষণ বড়ূয়ার ছেলে। ফণিভূষণ বড়ুয়া ছিলেন স্কুলশিক্ষক। রাজিবের মা গীতা রানী বড়ূয়া ছিলেন কাস্টমের কর্মকর্তা। কর্মসূত্রে রাজিবের পরিবার চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে সিজিএস কলোনির সরকারি বাসায় বসবাস করতো। রাজীব বড়ূয়ার বেড়ে ওঠা সিজিএস কলোনিতে।
আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েন রাজিব। রাজিব বড়ূয়া একাধিকবার নানা অপরাধে জেলও খেটেছেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে।

রাজিব বড়ুয়া দেশে আসার আগে গৃহস্থালী পণ্যের চালানটি বুকিং দিয়ে এসেছিলেন। চালানে কামরুলের জন্য একটি ব্লেন্ডারও ছিল।
কামরুলের সঙ্গে রাজীব বড়ূয়ার হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনেও গৃহস্থালির পণ্যের কথা থাকলে অস্ত্র সংক্রান্ত কোনো আলোচনা ছিল না। তবে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালিয়ে অস্ত্রগুলো আগ্নেয়াস্ত্র নয় বলে আদালত নিশ্চিত হয়ে মামলা থেকে কামরুলকে খালাস দেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।