চালু হয়নি ৩ জোড়া শাটল, ভোগান্তিতে চবি শিক্ষার্থীরা

মাইলেজ ইস্যুতে আন্দোলনরত লোকো মাস্টারদের কর্মবিরতিতে স্থগিতের পর সারাদেশের রেল চলাচল স্বাভাবিক হলেও আটকে আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাটল ট্রেন। বন্ধ হওয়া চবির তিন জোড়া শাটল ট্রেন চালু হয়নি এখনো। এ নিয়ে চরম ভোগান্তির পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

শহর থেকে চবি ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাস থেকে শহরে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যমই শাটল ট্রেন। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ক্যাম্পাস থেকে শাটল ট্রেন যোগে শহরে এসে টিউশন করেন। তিন জোড়া শাটল বন্ধ থাকায় তারা পড়ছেন সংকটে। আবার ক্যাম্পাসে ফিরার পথে এক নম্বর গেইট থেকে স্মরণ চত্বর পর্যন্ত সড়ক অনিরাপদ হওয়ায় ভোগান্তির শেষ নেই।

এছাড়াও যারা বাসে যাতায়াত করছেন তারা অতিরিক্ত অর্থ খরচের ভোগান্তিতে আছেন।

আরবি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আমি প্রায় সময় সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার ট্রেনে করে শহরে যেতাম। কিন্তু এখন সাড়ে পাঁচটার ট্রেন বন্ধ থাকায় আমাকে হয় একদম রাত সাড়ে নয়টার ট্রেনে যেতে হচ্ছে নয়তো বাসে যেতে হচ্ছে। যার ফলে আমার সময় ও টাকা দুটোই নষ্ট হচ্ছে।

বাংলা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী আদৃতা হোসেন এশা বলেন, আমি আগে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার শাটলে শহরে গিয়ে টিউশন করিয়ে রাত সাড়ে আটটার শাটলে ক্যাম্পাসে ফিরতাম। কিন্তু এখন সাড়ে পাঁচটার শাটল বন্ধ থাকায় আমাকে চারটার শাটলে যেতে হচ্ছে। যার ফলে আমার দেড় ঘন্টা সময় নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও সময় বাঁচানোর জন্য বাসে গেলে আমার অতিরিক্ত বাস ভাড়া দিতে হচ্ছে যা আমিসহ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্যই কষ্টদায়ক। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ের প্রতি সুনজর দেয়া।

গত ২৬ জানুয়ারি থেকে মাইলেজ ইস্যুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচল করা সাত জোড়া ট্রেনের মধ্যে তিন জোড়া শাটল ট্রেন অনির্দিষ্টকালের জন্য না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ফলে ২৬ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকে ১৩১ / ১৩২, ১৩৫ / ১৩৮ ও ১৪১ / ১৪২ নম্বরধারী তিন জোড়া শাটল ট্রেন।

কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে গত ৩০ জানুয়ারি লোকো মাস্টাররা কর্মবিরতি স্থগিত করার পর থেকে সারাদেশের রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে সারাদেশের রেল চলাচল স্বাভাবিক হলেও এখনো পর্যন্ত আটকে আছে বন্ধ হওয়া চবির তিন জোড়া শটল।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের কিছু গার্ড সংকট তাছাড়া আগামী ২১ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে আমরা আপাতত শাটলগুলো বন্ধ রেখেছি। এ বিষয়ে প্রক্টরের স্যারের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে শাটল আবারো আগের শিডিউলে চলবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে আমরা বলেছিলাম ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক শিডিউলে নিয়ে আসতে। কিন্তু এখনো যে তিন জোড়া শাটল চলতেছে না সে ব্যাপারে আমি অবগত ছিলাম না। আমি পুনরায় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।