চোলাই মদের ব্যবসায় এবার বাঙ্গালী

দেশের একটি বিশেষ জনগোষ্ঠীর জন্য আইনীভাবে নির্দিষ্ট পরিমান চোলাই মদ উৎপাদান, পরিবহন ও পান করা বৈধ। সে অনুযায়ী তারা নির্দিষ্ট পরিমাণ উৎপাদনও করেন। তাদের জন্য বিশেষ কারণে বৈধ হলেও বাঙ্গালীদের জন্য তা আইনসিদ্ধ নয়। কিন্তু বাঙ্গালীরাও জড়িয়ে পড়ছে চোলাই মদের কারবারে।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিষাক্ত চোলাই মদ পানে প্রাণহানি বেড়ে যাওয়ায় মদ তৈরির কারখানার সন্ধানে নামে র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীতাকুণ্ডের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে চলে অভিযান। উপজেলার ভাটিয়ারী হয়ে মূল সড়ক থেকে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় হেঁটে মদ তৈরির কারখানার খোঁজ পেয়েছে র‌্যাব-৭।

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর দুর্গম পাহাড়ের হুনাছড়া এলাকায় ওই মদ তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার লিটার চোলাই মদ ও ৪০ হাজার লিটার মদ তৈরির উপকরণসহ বিদ্যুৎ খন্দকার (২৬) নামে একজনকে আটক করেছে র‌্যাব। র‌্যাবের পক্ষ থেকে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি জানানো হয়েছে।

র‌্যাবের দাবি, চক্রটি চোলাই মদ উৎপাদন করে তা চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ফেনীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। জব্দ চোলাই মদ ও মদ তৈরির উপকরণের আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকা। গ্রেফতার বিদ্যুৎ খন্দকার এই এলাকার বাসিন্দা। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় কামাল ও মামুন নামের আরও দুইজন মাদক কারবারী।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীতাকুণ্ড থানার ভাটিয়ারী এলাকার দুর্গম পাহাড়ের হুনাছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোলাই মদ তৈরির কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে। এ সময় ১০ হাজার লিটার চোলাই মদ ও ৪০ হাজার লিটার চোলাই মদ তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।

র‌্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান বলেন, পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর জন্য চোলাই মদ বৈধ। তবে এখন চোলাই মদের ব্যবসায় নেমেছে বাঙ্গালীদের কেউ কেউ। কারিগরও বাঙ্গালী। বাড়তি লাভের আশায় দেশের দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন এ কাজে। এই কারখানার মূল কারিগর এসেছেন ফরিদপুর থেকে।

তিনি আরও বলেন, সীতাকুণ্ডের দূর্গম পাহাড়ে অভিযান পরিচালনার সময় মদ তৈরির কারিগররা পালাচ্ছি। আমরা পাহাড় বেয়ে বিদ্যুৎ খন্দকারকে টেনে নামিয়েছি। পলাতক অপর দুই আসামিকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

সিএস/এফএম

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।