চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল ছলিমপুর এলাকায় চলতি মাসে সরকারের দুই প্রভাবশালী মন্ত্রী পরিদর্শন করার পর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস চট্টগ্রামের প্রশাসনিক সব কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময় করেছেন। মতবিনিময় সভায় জঙ্গল ছলিমপুর নিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান তার পরিকল্পনা বিস্তারিত তুলে ধরেন।
শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলনকক্ষে জঙ্গল ছলিমপুর নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ছলিমপুরে ভূমিদস্যু সৃষ্ট সকল প্রতিবন্ধকতা প্রতিহত করার জন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। তিনি সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ জানান।
সভায় বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হক, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারমান এসএম আল মামুনসহ সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বিদ্যুতের খুঁটি কিভাবে জঙ্গল ছলিমপুরে গাঁথা হয়েছে তাও জানতে চান। এর সঠিক উত্তর দিতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাগণ।
নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ জঙ্গল সলিমপুরকে কেন্দ্র করে একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠি দীর্ঘদিন ধরে বনভূমি ধ্বংস করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি খাস জমি অর্থের বিনিময় দখল বিক্রি করে আসছে। জঙ্গল সলিমপুর এখন সন্ত্রাসী গোষ্ঠির একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিনত হয়েছে। সন্ত্রাসীরা অভিনব কায়দায় বনভূমি ধ্বংস ও খাস জমি বিক্রয় করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসন জঙ্গল ছলিমপুরে প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণের পাশাপাশি সেখানে আশ্রয় নেওয়া জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
সভাশেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান বলেন, জঙ্গল সলিমপুরে যেন নতুন করে পাহাড় কাটা ও অবৈধ ভূমি দখল না হয় সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও জঙ্গল সলিমপুরে সরকারের গৃহিত মহাপরিকল্পনার বিষয়ে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে একটি মাস্টার প্ল্যান দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনে খুরুশকুলের আদলে প্রকল্পের প্রস্তাবনা রয়েছে—ডিসি চট্টগ্রাম
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।