জট কমাতে কর্ণফুলী সেতুতে আরও দুই টোল লেন চালু

পবিত্র ঈদুল আজহার দুইদিন আগে চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুতে (তৃতীয় কর্ণফুলী) জট কমাতে আরও দুইটি টোল লেন চালু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। এটি সহ মোট টোল লেন ১০টিতে দাড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নতুন টোল লেন দুটি নির্মাণ শেষে ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এতে টোল প্লাজা যানজটমুক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন টোল ইজারা পরিচালনাকারী বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কোম্পানি ‘সেল–ভ্যান জেভি’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুমন ঘোষ।

জানা যায়, ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শাহ আমানত সেতু চালু হয়। টোল প্লাজায় তিনটি করে উভয় দিয়ে ৬টি লেন নিয়ে সেতুর কার্যক্রম চালু হয়। সেতুর ওপর যানবাহনের চাপ অত্যধিক হওয়ার কারণে ৩ বছর পর টোলপ্লাজার দুই পাশের অযান্ত্রিক যান চলাচলের জন্য রাখা ফ্রি টোল লেন দুটির পরিসর বাড়িয়ে  ছোট যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়। এরপর থেকে সেতু টোল প্লাজা এলাকায় দুই পাশে ৪টি করে ৮টি বুথ রয়েছে। তারপরও প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের কারণে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যানজট ও যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি কথা চিন্তা করেই সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও দুই টোল লেন নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

ইজারা পরিচালনাকারী বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কোম্পানি ‘সেল–ভ্যান জেভি’র জানায়, নির্মাণ প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৪ কোটি ৯০ লাখ ৫৯ হাজার ২৫৯ টাকা ৫৫৬ পয়সা। চুক্তি অনুযায়ী, নির্মাণকাজ শেষ করার সময়সীমা ছিল ১৮০ দিন। কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ বড়বাড়ি পুকুর পাড়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাসমত অ্যান্ড ব্রাদার্স।

টোল ইজারা পরিচালনাকারী বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কোম্পানি ‘সেল–ভ্যান জেভি’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুমন ঘোষ বলেন, যানজট ও যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি কথা চিন্তা করেই ঈদের আগে নির্মাণাধীণ আরও দুটি লেন চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি অটোরিকশার চলাচলও তুলনামূলকভাবে কমেছে। এতে টোল প্লাজা যানজটমুক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।