চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, জনগণের জানমাল রক্ষার লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগের কর্মসূচি। আমরা কোনো দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিতে কখনো পাল্টা কর্মসূচি দিতে চাই না।
রোববার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ৮ দিনব্যাপী গণসমাবেশ, শোভাযাত্রা ও প্রয়াত জননেতাদের স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজনের কর্মসূচির ১ম দিনে অক্সিজেন মোড়ে শান্তি সমাবেশে একথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার পতনের অযৌক্তিক আন্দোলনের নামে যাতে নাশকতা ও অরাজকতা না হয় এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘিœত না হয় সেই মহৎ উদ্দেশ্যে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা থাকতে চাই, আছি এবং অবশ্যই থাকবো।
আ জ ম নাছির বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলার সংগ্রামী জনতার একটি গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ। এই গণমঞ্চ থেকেই বাঙালির সার্বিক মুক্তি, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সামাজিক কল্যাণ ও প্রগতির সূচনা হয়েছে। এটাই আওয়ামী লীগের ইতিহাস। এই ইতিহাসকে যারা অস্বীকার করে তারা ডাস্টবিনের আবর্জনায় নিক্ষিপ্ত হবে। পাড়ায় মহল্লায় কিছু অনুপ্রবেশকারী আছে, এরা যেকোনো সময় জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে পারে। তাই কোথাও সন্দেহভাজন কোন লোকের আনাগোনা দেখলেই তাদের চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে। এছাড়া এলাকার মুরুব্বি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মন জয় করার জন্য তাদের কাছে গিয়ে আওয়ামী লীগের শাসনামলের সকল প্রাপ্তি সাফল্য ও অর্জনগুলো তুলে ধরতে হবে এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরোধী অপশক্তির অপতৎপরতাগুলোর কুফল সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, যে দলের জন্ম ক্যান্টনমেন্টে এবং সামরিক স্বৈরাচারের আতুঁরঘরে, রাজপথে সেই দলের একক দখলদারিত্ব থাকতে পারে না। যে দলের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য আছে এবং জনগণের অধিকারের কথা বলে সে দল সবসময় রাজপথেই থাকে, আছে এবং থাকবে- এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। যারা এই শিক্ষা গ্রহণ করে না তাদের কুমতলব হলো অযৌক্তিক ইস্যু খাড়া করিয়ে নাশকতা-অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীলতা অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করা। তাদের রাজপথে থেকে মাঠ গরম করার কোন অধিকার নেই।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচন মানে না এবং বিদেশি প্রভুদের আশকারায় অবৈধভাবে ও জোর করে ক্ষমতায় বসতে চায় বাংলার জনগণ তাদের অবশ্যই প্রতিহত করবে।
আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নির্বাহী সদস্য গাজী শফিউল আজিম, মহব্বত আলী খান, জাফর আলম চৌধুরী, শাহজাহান রশিদ, তানভির আহমদ, শাহজাদা আব্দুল মালেক, হুমায়ুন আলম মুন্না, জামাল উদ্দীন, আব্দুল শুক্কুর ফারুকী, কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর, আব্দুর রহিম, সৈয়দ মো. আমিনুল হক, মাহবুব আলম কন্ট্রাক্টর, ইলিয়াছ সরকার প্রমুখ।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।