শামসেন নাহার। বয়স ৫৫ পেরিয়েছে প্রায়। জটিল ক্যান্সারের ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে। স্বামীহীন পরিবারে সন্তানদের নিয়ে সুখে জীবনযাপন করলেও মরণঘাতী ক্যান্সার অতিষ্ঠ করে তুলেছে তার জীবন। মাহাবুব তালুকদারের সময়ও কাটছে বেশ সংকটের মধ্যে। অভাব অনটনে চলা সংসারে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া বড় কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে পড়েছে।
শামসেন নাহার, মাহাবুব তালুকদারের মতো এরকম অসংখ্য মানুষ নিত্য নিজেদের সমস্যা নিয়ে দ্বারস্থ হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে। অসুস্থতা, মেয়ের বিবাহ, বার্ধক্যজনিত সমস্যা, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ, কিংবা অন্য কোন সমস্যা—সব বিষয়ে নোয়াখালীর চাটখিল-সোনাইমুড়িবাসীর ভরসার জায়গায় পরিণত হয়েছেন আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলম। সমাধানের চেষ্টা করেন সবার সমস্যা।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদে দেখা যায় বেশ কয়েকজন সেবাগ্রহীতাকে। যারা এসেছেন আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ত্রাণ তহবিলের সহায়তা নিতে। এদিন অসুস্থতা ও বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত বেশ কয়েকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয় সহায়তা।
সহায়তা পাওয়া সোনাইমুড়ীর পাপুয়া এলাকার মিনতি রানি দাশ বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগতেছি। অর্থিক সমস্যার জন্য চিকিৎসা করানো হচ্ছিলো না। পরে আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাহেবকে জানালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে এ সহায়তা দিয়েছেন। এতে আমার বেশ উপকার হয়েছে।
খন্দকার আহামেদ নামে চাটখিলের নবনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা বলেন, আমার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। কিন্তু অনেক চিন্তিত ছিলাম খরচ কিভাবে জোগাড় করবো। বিষয়টি আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাহেবকে জানালে তিনি আমাকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন। অবশেষ আজ আমি সহায়তা পেয়েছি।
মিনতি রানি ও খন্দকারের মতো এ রকম অসংখ্য মানুষ নিজেদের সমস্যার সমাধান পেয়েছেন আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলমের হাত ধরে। তিনি শুধু যে জনগণের কাছে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন তা নয় জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
স্থানীয়রা বলেন, আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম যে শুধু একটি রাজনৈতিক দলের ব্যাক্তি তা নয়। তিনি আমাদের সবার প্রতিনিধি। একজন সাধারণের প্রতিনিধি হয়ে তিনি প্রতিনিয়ত এলাকাবাসীর সেবা করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের এই এলাকা বিএনপি-জামাতের ঘাঁটি। কিন্তু আজকে অনেকে ভুল পথ থেকে সরে আসছেন। তার পেছনে আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাক্তিত্ব এবং সততা কাজ করছে। যা মানুষকে আকৃষ্ট করেছে, অত্র এলাকায় নৌকার জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।