দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসা চন্দনপুরার শিক্ষক ও চিন্তক মুহাম্মদ মুনির উদ্দিন বলেছেন, স্বৈরাচার আমলে আমার কলিগরা আমাকে একটা কথা বলতেন যে, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার উপর আল্লাহ গজব নাজিল করেন না কেন? কিন্তু ব্যাপারটা এমন না। ব্যাপারটা হলো আল্লাহ নিজেই বলেছেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত না মানুষ নিজে চেষ্টা করবে ততক্ষণ আল্লাহ নিজে থেকে কিছুই করবেন না। সুতরাং ২৪ এ এসে মানুষ স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করেছেন এবং আল্লাহ তাতে সফলতা প্রদান করেছেন।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে রাষ্ট্রচিন্তা, চবি কর্তৃক আয়োজিত ‘নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কার’ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অন্যতম আলোচক হিসবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেছেন মুহাম্মদ মুনির উদ্দিন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, গণভবনের জিনিপত্র বের করে নিয়ে এসে জনগণ উল্লাস করেছিলো, মিছিল করেছিলো। আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছেন, যারা সেই ঘটনাকে নিচু চোখে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। অনেকে সে বিষয়গুলোকে লুটপাট ও ডাকাতি হিসেবে দেখাতে চেয়েছেন। তবে আমি মনে করি এটি কোনো লুটপাট কিংবা ডাকাতি ছিলো না, এটি ছিল স্বৈরাচারের পতন উপলক্ষ্যে জনগণের আনন্দ উদযাপন। যে জনগণ একটি জগন্য স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছে, সে জনগণের আনন্দ উদযাপনের অধিকার রয়েছে।
মুনির উদ্দিন বলেন, এই যে গণভবন থেকে জিনিসপত্র যে জনগণ বের করে নিয়ে এসেছে তা আজীবনের জন্য একটি বার্তা হয়ে থাকবে। এই বার্তাটি তাদের জন্য যারা কিনা নতুন করে আবারো এই দেশে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করতে চাইবে। কেউ যদি নতুন করে স্বৈরাচার হয়ে উঠতে চায় তাহলে সে অবশ্যই গণভবনে ঘটে যাওয়া সে ঘটনার বিষয়ে কয়েকবার চিন্তা করবে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও রাষ্ট্রচিন্তক অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। এ ছাড়াও সংবিধান বিষয়ে আলোচনা করেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।