জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫০

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৫০ হয়নি, দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে তো অলআউট হয়ে গিয়েছিল ১০১ রান তুলতেই! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এসে অবশেষে ১৫০ রানের দেখা পেল বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের আজ বাঁচা মরার লড়াই। সেই লড়াইয়ের টস জিতে বাংলাদেশ নেয় ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। ইনিংসের প্রথম ওভারে স্ট্রাইকটা ছিল তার ওপেনিং সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে। সেই ওভারের শেষ বলে এক রানসহ শান্ত তুললেন পাঁচ রান। দ্বিতীয় ওভারের শুরুতেই মারলেন চার, এরপরের বলে স্ট্রাইক গেল সৌম্য সরকারের কাছে।

সৌম্য প্রথম বলটা ঠেকালেও দ্বিতীয় বলেই সর্বনাশটা ডেকে আনলেন নিজের। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে তিনি অনেকটা হাফ শট খেলেই উইকেট দিয়ে এসেছেন তিনি। তাতে বাংলাদেশ উইকেট খোয়ায় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই।

লিটন দাস এরপর উইকেটে এসে হাত খোলার চেষ্টা করেন, ওপাশে শান্তর ক্রমাগত ডট চাপটা সরাতেই কি-না, ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে আরও আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। সে চেষ্টা সফল হয়নি তার। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ফেরেন তিনি।

সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে অস্বস্তিটা এরপর দূর করার চেষ্টা করেন শান্ত। ৫৪ রানের জুটিতে সেটা হয়েছেও। তবে সাকিব বিদায় নেন এরপরই। ফেরার আগে সাকিব করেন ২০ বলে ২৩ রান।

অধিনায়কের বিদায়ের পর শান্তর সঙ্গী হন আফিফ হোসেন। ইনিংসের ১৪তম ওভারে ফিফটির দেখা পান শান্ত, যদিও খেলে ফেলেন ৪৫ বল। এরপরই অবশ্য হাত খুলেছেন তিনি। পরের ১০ বলে তুললেন ২১। শেষ দিকে ইনিংসের চাহিদা মেটাতেই হতে চাইলেন আরও বেশি আক্রমণাত্মক, সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ দিলেন ক্রেইগ আরভিনের হাতে।

শান্তর ফিফটি পরবর্তী ঝড়ে বাংলাদেশের ১৬০ পেরোনো পুঁজির আশাই জেগে উঠেছিল। শান্ত ফেরার পর আফিফ চেষ্টা করেছিলেন। তবে বাংলাদেশের রান ১৬০ ছুঁল না বাকিদের ব্যর্থতায়। ডেথ ওভারে মোসাদ্দেক করলেন ১০ বল খেলে ৭ রান, তাতে নুরুল হাসান সোহান কিংবা ইয়াসিরদের সামনে সুযোগই তেমন এল না নিজেদের সক্ষমতা দেখানোর। শেষ বলে আফিফের ইনিংস থামে ১৯ বলে ২৯ রান তুলে। তাতেই বাংলাদেশের ইনিংসটা থামে ১৫০ রানে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।