অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা সম্ভব। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেই হবে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। আয়নাঘরের ভুক্তভোগীদের সহায়তা দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আয়নাঘরে যারা গুমের শিকার হয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসার সুযোগ তাদের রয়েছে। মনে রাখবেন, এই ট্রাইব্যুনালে যে কোনো ব্যক্তি মামলা করতে পারবেন। কাজেই তারা গুমের মামলা করতে পারেন।’
ড. আসিফ নজরুল বলেন, গণহত্যা ও গুলি বর্ষণের বিচার হবে, মামলা হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিচার করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ থেকে আমাদের বারবার সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। আমরা বিচারে সত্যিকারের স্বচ্ছতা-নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের ইনভেস্টিগেশন টিম জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কাজ করবে। তদন্ত জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করা হবে।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা তার কাছে সহযোগিতা চাইবো। এছাড়া জাতিসংঘের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ে কনসার্ন, এজেন্সির সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই এটা শুরু করতে পারবো।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, সারাদেশে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা ৩ দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ বাহিনী না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। এখন পুলিশ যোগ দিয়েছে, আশা করি ৩১ আগস্টের মধ্যেই সেইসব মামলা প্রত্যাহার করা হবে। বৃহস্পতিবারের (১৫ আগস্ট) মধ্যে ঢাকা শহরের মামলা প্রত্যাহার হবে। এ ছাড়া সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদর রহমান মান্নার মামলা আগামীকালের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে প্রত্যাহার হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্য সর্বব্যাপী। ধর্মের ভিত্তিতে, রাজনৈতিক ভিত্তিতে যত বৈষম্য হয়েছে তা নিরসন করা হবে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।