টনসিলের ব্যথা কমানোর ১০ উপায়
টনসিলের ব্যথা খুবই বিরক্তিকর। এই ব্যথা খাবার খেতে কষ্ট, ঢোক গিলতে কষ্ট হয়। এমনকী কথা বলতে গেলের অুসবিধায় পড়তে হয়। টনসিলের ব্যথায় যারা ভুগছেন, তাঁদের জন্য রইল দশটা সহজ টিপস—
লবণ ও গরম পানির গার্গল
কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার গার্গল করুন। এটি গলা ও টনসিলের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে এবং ব্যথা লাঘব করে।
মধু ও লেবুর মিশ্রণ
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ মধু ও অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ রয়েছে, যা গলার প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
আদা চা
আদা চা টনসিলের ব্যথা কমাতে কার্যকরী হতে পারে। আদায় অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান আছে যা গলা শীতল রাখে এবং ব্যথা কমায়।
গরম পানির ভাপ
গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। এতে গলার শ্লেষ্মা পরিষ্কার হয় এবং ব্যথা হ্রাস পায়। একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে মুখ ঢেকে ভাপ গ্রহণ করতে পারেন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
শুষ্কতা ও সংক্রমণ রোধে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। গলা আর্দ্র থাকলে ব্যথা কম অনুভূত হয়।
গরম স্যুপ বা হারবাল চা
গরম স্যুপ বা তুলসীপাতার চা পান করতে পারেন। এটি গলার সুরক্ষা প্রদান করে এবং আরাম দেয়।
দুধ ও হলুদ মিশ্রণ
রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন। হলুদে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটা সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
বিশ্রাম ও খাদ্যতালিকায় মনোযোগ
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং বেশি মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। শীতল বা তেলযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলুন যাতে গলা আরও শুষ্ক না হয়।
বায়ু দূষণ থেকে সুরক্ষা
ধুলো, ধোঁয়া বা অতিরিক্ত শীতল পরিবেশ থেকে দূরে থাকুন। এগুলো গলা শুষ্ক করে এবং টনসিলের ব্যথা বাড়াতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ
ঘরোয়া পদ্ধতিতে যদি আরাম না পান তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হতে পারে।
এই সহজ টিপসগুলো অনুসরণ করলে টনসিলের ব্যথা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং দ্রুত আরাম পাওয়া সম্ভব।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।