টাইগার ফারুকের হামলার শিকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মহিউদ্দীন

সাতকানিয়ার নলুয়ায় মিন্টু বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মো. মহিউদ্দীন। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এঘটনা ঘটে টাইগার ফারুকের বাড়ির সামনে। গুরুতর আহত মহিউদ্দিনকে প্রথমে আশশেফা হাসপাতাল পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলায় মহিউদ্দীন মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন এবং তার হাত ও পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে দাবি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাতকানিয়া থানার নবাগত ওসি ইয়াছিন আরাফাত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে সার্কেল এএসপি শিবলি নোমান স্যারসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মিন্টু-কামালের ভাগিনা মোরশেদ ও রিয়াজ নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মহিউদ্দীনের ভাই বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহিউদ্দিনের ছোট ভাই আজিম উদ্দিন মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য মিন্টু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়েছে। গত ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তাকে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকী দেওয়া হয়েছিল। একাধিক হামলাও চালিয়েছে। নির্বাচনের পরদিন মিন্টুর নেতৃত্বে বাড়িতে অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি করা হয়। তখন হামলা করা হয় মহিউদ্দিন, আজিম, নাজিম আমরা তিন ভাইকে আহত করা হয়। গত ১৩ আগস্ট রাতেও বাড়িতে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয় মহিউদ্দিনকে।
এসব ঘটনায় সম্প্রতি মামলা করা হলে মিন্টু বাহিনীর ক্যাডার টাইগার ফারুক, মোরশেদ মেম্বার, দাড়ি কামাল, শিবির ক্যাডার জামশেদ, জামাই ফাহিম, জোবায়ের, শহিদ, রিয়াজসহ আরও কয়েকজন সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় বাড়ি ফেরার পথে অতর্কিত হামলা করে। মহিউদ্দীনকে মৃত ভেবে হামলাকারীরা ফেলে গেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠান। প্রথমে কেরানীহাট আশশেফা হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা চমেক হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে ২৮ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা আঘাত গুরুতর বলে জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহিউদ্দিন প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১০টায় নজির মাঝির দোকান থেকে নিজবাড়ি ফেরার পথে ফারুকের বাড়ির সামনে এলেই আগে থেকে উৎপেতে থাকা চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মহিউদ্দীনের ওপর হামলা চালান। মিন্টু বাহিনীর মোরশেদ মেম্বার, টাইগার ফারুক, শিবির ক্যাডার জামশেদ, মৌলভী জোবায়ের, জামাই ফাহিম, টোকাই শহিদ, পাগলা রিয়াজ এই হামলা করেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। হামলার নেতৃত্ব দেন মো. কামাল উদ্দিন ওরফে দাড়ি কামাল। হামলায় মহিউদ্দিনের মাথায় গুরুতর আঘাত করা হয়েছে। রড ও হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেওয়া হয়। হামলাকারীদের হাতে ছিল বন্দুক, দা, ছুড়ি, রড, হকিস্টিকসহ বিভিন্ন অস্ত্র। এলোপাতাড়ি মারধরের একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মহিউদ্দিনকে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।