টুপি—পাঞ্জাবী পরে মোটরসাইকেল চুরি করে ‘মিল্টন সাহা’

কিশোরগঞ্জের ভৈরবপুরের উত্তরপাড়ার হারাধনের ছেলে মিল্টন পুলিশের খাতায় দেশের শীর্ষ পর্যায়ে মোটরসাইকেল চোর। পুলিশের হাতে ধরা পড়লে বদলে যায় নাম, সাথে পিতা-মাতার নামও। কখনো নিজের নাম বলেন মিলন্ট সরকার, কখনো মিল্টন সাহা আবার কখনো মো. সোহেল।

পিতা-মাতার নাম বদলে হয়ে যায় হারাধন সরকার, হারাধন সাহা এবং মো. জাকির খান। মা কল্পনা রানী সরকারের নাম বদলে হয়ে যায় কল্পনা সাহা কিংবা সুফিয়া খাতুন।

আরও বড় কৌশল হলো- মাথা টুপি, গায়ে পাঞ্জাবী পরে পাক্কা মুসল্লী সেজে মোটর সাইকেল চুরি করার ভিডিও পেয়েছে পুলিশ। সেই ভিডিওর সূত্র ধরে তদন্তে নেমে পাওয়া গেছে বহুরূপী মিল্টনকে। হাতপাকানো চোর মিল্টন থাকেন চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ পতেঙ্গায়। পুলিশ একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা তদন্তে নেমে উদ্ধার করেছে ছয়টি মোটরসাইকেল।

শনিবার (২১ মে) বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন আকবরশাহ থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর।

তিনি বলেন, মোটর সাইকেল চুরির তদন্তে নেমে টিম আকবরশাহ থানা নগর ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয়টি মোটরসাইকেলসহ ছয় চোরকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে এক জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৬টি আরেক জনের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রয়েছে।

আটককৃতরা হলো- ১৬ মামলার আসামি মিল্টন কুমার সাহা, ১৩ মামলার আসামি মেহেদী হাসান সোহেল, ৫ মামলার আসামি মামুনুর রশিদ এবং তাদের সহযোগী শাহজালাল, ইসমাইল, মহিন উদ্দিন সুমন। মিল্টন চার মাস আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল।

পুলিশ জানায়, চোরচক্র চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোটর সাইকেল চুরি করে মেহেদীর গ্যারাজে দেয়। মেহেদী চেসিস নাম্বার টেম্পারিং ও রঙ বদলিয়ে বিক্রি করে।

গ্যারাজের মালিক মেহেদী কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার জালালের ছেলে, শাহজালাল একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে। ইসমাইল ও সুমন ফকির আহমদ ও মৃত আলী নেওয়াজের ছেলে। তাদের বাড়িও নাঙ্গলকোট। মামুন চৌদ্দগ্রাম থানার মৃত আব্দুর সবুরের ছেলে।

মোটরসাইকেল চুরি, অভ্যাসগতভাবে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত থাকায় আসামিদের বিরুদ্ধে নগরীর আকবরশাহ থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জানান ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবর।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।