ডাকাতির নতুন কৌশল—মারামারির নাটক সাজিয়ে লুট

মোরশেদ আলম ও ত্রিদিব বড়ুয়া নামের দুই ব্যক্তি মোবাইল বিক্রীর ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে যাচ্ছিলেন। তাদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখছিল ডাকাত চক্রের ৭-৮ জন সদস্য। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই কর্মকর্তা ব্যাংকের কাছাকাছি আসতেই ডাকাতদের একজন পেছন দিক থেকে এসে মোরশেদকে ধাক্কা দেয়। সেটি দেখে ত্রিদিব প্রতিবাদ করতেই ডাকাতদের কয়েকজন এসে তাকে ছুরিকাঘাতের ভয় দেখিয়ে মারতে শুরু করে। আর পাঁচজন মোরশেদকে এলোপাতাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করতে করতে এক পর্যায়ে কাঁধে থাকা টাকার ব্যাগটা নিয়ে দৌঁড় দেয়।
গত ৯ জুলাই এই ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রাম নগরীর জুবলি রোড এলাকায়।

টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের মালিকের করা মামলায় চার জনকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ডাকাতদের কাছ থেকে লুন্ঠিত নগদ ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো, মো. একরামুল আলম (৩৩), সাহেদ হোসেন মনা (২৪), মো. ইয়াছিন (২৪) ও রবিউল হোসেন।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সদরদপ্তরে মিডিয়া সেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন নগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা ও স্পিনা রানী প্রামাণিক, কোতোয়ালি জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী, ওসি কোতোয়ালি জাহিদুল কবির, পরিদর্শক (তদন্ত) রুবেল হাওলাদার, এসআই মোমিনুল হাসানসহ পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মারামারির নাটক সাজিয়ে সুকৌশলে ব্যবসায়ীর ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনতাই করে ডাকাত চক্রের ৭-৮ জন সদস্য। নুর এন্টারপ্রাইজের নামক প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তা ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গেলে এলাপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা হলে কোতোয়ালী থানা পুলিশের একাধিক টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুল আসামি একরামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি , অস্ত্র ও ডাকাতির বিভিন্ন মামলা রয়েছে জানিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।