চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ডার্বি গ্রুপের ২৯ কোপে স্থানীয় কালা মনছুর নামে এক যুবক গুরুতর জখমের ঘটনার ৬ দিন পার হলেও এখনো কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। স্বজনদের অভিযোগ পুলিশের নাকের ডগায় আসামিরা ঘুরছে-ফিরছে। কিন্তু তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
রোববার (২৪ জুলাই) আহত মনছুরের ভাই মো. হারুন অর রশিদ চট্টগ্রাম খরবে জানান, ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় চাতরী চৌমুহনী বাজারে ডার্বি গ্রুপের মামুন ও মিন্টুর সঙ্গে ঝগড়া লাগে। ঝগড়ার খবর পেয়ে আমার ভাই তাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করে উভয় পক্ষকে শান্ত করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ওইদিন রাত ২টার দিকে ভাইয়া বাড়ী ফেরার সময় মামুন তার ডার্বি গ্রুপের সদস্যদের নিয়ে মনছুরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। আহত আবদুল মনছুর প্রকাশ কালা মনছুর চাতরী এলাকার মো. আবদুর রহিমের পুত্র।
এঘটনায় ২০ জুলাই রাতে মোহাম্মদ মামুন (২৮), মো. সায়মন (১৯), মো. আলিফ (২৫), মো. হৃদয় (২০), মো. রাশেদ (২০) ও মো. মুজিবুর রহমানকে (৩৫) আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন মো. হারুন অর রশিদ।
আবদুল মনছুর মুঠোফোনে বলেন, মামুন ও মিন্টুর সঙ্গে লাগা ঝগড়াকে কেন্দ্র করে আমার ওপর হামলা করে। আমার কাছে থাকা গরু বিক্রির ৯৬ হাজার টাকাও নিয়ে নেয় তারা। এসময় স্থানীয় শফিকুল ইসলাম আমাকে উদ্ধার করে মেডিকেল নিয়ে যায়।
মামলার বাদি মো. হারুন অর রশিদ জানান, তাদের দেশীয় অস্ত্রের ২৯টি কোপে মনছুরের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়। ঘটনার ৬ দিন পার হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার আসামিরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি।
স্থানীয়রা জানান, চাতরী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ডার্বি গ্রুপ নামে কিশোর গ্যাং সদস্যরা মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করে না। রাতের আঁধারে যাত্রীবেশে ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটায় তারা। এরা সকলে উঠতি বয়সের কিশোর বলেও জানান স্থানীয়রা।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মুহাম্মদ হাসান বলেন, এঘটনায় থানায় আহতের স্বজন ৬ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।