ডিজিটাল হলো চসিক’র নাগরিক সেবা

নগরবাসীর দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমাতে ম্যানুয়েল পদ্ধতি থেকে অনলাইনের আওতায় গৃহকর ও ট্রেড লাইসেন্স ফি জমা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ এবং নবায়ন করতে এখন থেকে ঘরে বসেই চসিকের উন্নত সেবা গ্রহণ করতে পারবে। এতে একদিকে প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের অনিয়ম দূর হবে এবং কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনের কে.বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে এটিএনএন্ডআরকের তত্ত্ববধানে ও ডাচ বাংলা ব্যাংক লি. এর সহযোগিতায় ই-রেভিনিউ সিস্টেম সফটওয়্যারের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মেয়র আরো বলেন, অটোমেশন কার্যক্রমের আওতায় আসায় যে কেউ বাড়িতে বসে পৌরকর পরিশোধ করতে পারবেন এবং করদাতা তার কর সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য ঘরে বসেই জানতে পারবেন। অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে কর আদায়কারীদের বিরুদ্ধে যেসব অনিয়মের অভিযোগ আছে সেগুলোও দূরীভূত হবে।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ডিসেম্বর মাসে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালিত করায় চসিকের হোল্ডিং ট্যাক্সের আলোচিত এসেসমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর চসিককে স্থানীয় সরকার বিভাগ হোল্ডিং ট্যাক্সের পূণর্মূল্যায়নে প্রথাগত ম্যানুয়েল পদ্ধতি অনুসরণ না করার এবং একই সঙ্গে জরুরী ভিত্তিতে অনলাইন ভিত্তিক অটোমেশন পদ্ধতি চালু করার নির্দেশনা প্রদান করে। কিন্তু চসিক ঐ প্রকল্পের আওতায় কোন কার্যক্রম গ্রহণ করেনি, ২০১৮ সালে এর সাথে যুক্ত হয় চসিক।

মেয়র গৃহকর বৃদ্ধিকরণ প্রসঙ্গে বলেন, কোন ধরণের গৃহকর বাড়ানো হবে না শুধুমাত্র এর আওতা বাড়ানো হবে অর্থাৎ যদি আগে ভবন ২তলা থাকে এখন তা ৩ বা তার অধিক হয় তাহলে সেই বর্ধিত অংশটুকুরই কর নেয়া হবে। তিনি নগরবাসীকে কর নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। এতে আরো বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, অর্থ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. ইসমাইল, কাউন্সিলর গাজী মো. শফিউল আজিম, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, সচিব খালেদ মাহমুদ আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামস তাবরীজ, চসিক প্রোগ্রামার মো. ইকবাল হাসান, এটিএনএন্ডআরকে সফটওয়্যার লি: মোহিনুল আবেদীন, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লি: এসভিপি মো. সোহেল, ডিটিও জানে আলম প্রমুখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।