ডুবে যাওয়া ছোট বোনকে বাঁচাতে গিয়ে তলিয়ে যায় বড় বোনও

সন্দ্বীপের একই পরিবারের তিন শিশুসহ চার শিশুর মৃত্যুর রেশ না কাটতেই বৃহত্তর চট্টগ্রামের কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীতে ডুবে মারা গেলো আরো দুই শিশু। ডুবে যাওয়া ছোট বোন জান্নাতুল মাওয়াকে (৫) তুলে গিয়ে তলিয়ে যায় বড় বোন তাসফিয়া নূর জোহরা (৯)।

তারা দুইজন কক্সবাজারের রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের খোন্দকারপাড়া গ্রামের আব্দুল করিমের মেয়ে। জোহরা রামু কেন্দ্রীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণি আর মাওয়া শিশু শ্রেণির ছাত্রী।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান রামু ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোমেন বড়ুয়া। তিনি বলেন, রামুর বাঁকখালী নদীর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়া এলাকা থেকে মৃত অবস্থায় দুই বোনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঁকখালী নদীতে পানি একদম শুকিয়ে গেছে। কিন্তু ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি তোলার কারনে নদীর মাঝে মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে গর্তগুলো মৃত্যুকূপে পরিনত হয়েছে। ওই গর্তে পড়েই দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকালে জোহরা ও মাওয়াসহ গবাদি পশুর জন্য ঘাস সংগ্রহ করতে যায়। এ সময় তারা ঘাসগুলো নদীর পানিতে ধুঁয়ে দলবেঁধে গোসল করতে নামে। বেলা এগারটার দিকে ছোট জান্নাতুল মাওয়াকে পানিতে তলিয়ে যেতে দেখে বড় বোন জোহরাসহ ও অন্যরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে।

অন্য শিশুদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন বাকি ৩ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও আবদুল করিমের দুই মেয়েকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। পরে রামু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মী এবং স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজি করে ১২টার দিকে শিশু দুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।