গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী এই সরকারে রয়েছেন আরও ১৬ উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার পর অপর ১৬ জনের শপথ গ্রহণও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (আগস্ট ০৮) রাত ৯টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। প্রথমে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন—
১. অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল
৩. ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।
৪. মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান
৫. পরিবেশ আইনবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
৬. সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
৭. সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ
৮. সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন
৯. সাবেক রাষ্ট্রদূত ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা
১০. উন্নয়নকর্মী (উবিনীগ) ফরিদা আখতার
১১. জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক বিধান রঞ্জন রায়
১২. চিন্তাবিদ, লেখক ও গবেষক আ ফ ম খালিদ হোসেন
১৩. গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরজাহান বেগম
১৪. ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ
১৫. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম
১৬. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
তবে ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক ও সুপ্রদীপ চাকমা ঢাকার বাইরে থাকায় শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টার পর দেশে পৌঁছান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশের নবনিযুক্ত আইজিপিসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় এবং একই দিন দেশত্যাগ করে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। আমেরিকা, বৃটেনসহ একাধিক দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।