ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক আরও গভীর করতে ৭টি নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

বাংলাদেশ—ভারত দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক আরো সুসংহত করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ঢাকা ও নয়াদিল্লি ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এসব সমঝোতা স্মারকের মধ্যে সাতটি নতুন ও তিনটি নবায়ন করা হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরকালে ভারতের হায়দ্রাবাদ হাউসে দুই দেশের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনার পর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
আলোচনায় মূলত সংযোগ, জ্বালানি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সামুদ্র সম্পদ, বাণিজ্য, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন অংশীদারিত্বের প্রাধান্য পায়।
প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকের পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সমুদ্র অর্থনীতি ও সামুদ্রিক সহযোগিতা, রেলওয়ে, সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, একাডেমিক সহযোগিতা, মৎস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়—বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের সাতটি নতুন সমঝোতা স্মারকের মধ্যে, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে সমুদ্র অর্থনীতি ও সমুদ্র সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ভারত মহাসাগরে সমুদ্রবিজ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যৌথ গবেষণার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ওশেনোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই) এবং ভারতের কাউন্সিল অব সাইন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর)-এর মধ্যে আরেকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ডিজিটাল পার্টনারশিপের দুটি পৃথক দৃষ্টিভঙ্গি ও একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ভারত- বাংলাদেশ সবুজ অংশীদারিত্বের অভিন্ন ভিশন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে রেল সংযোগের একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে।

একটি যৌথ ক্ষুদ্র উপগ্রহ প্রকল্পে সহযোগিতার লক্ষ্যে ভারতের জাতীয় মহাকাশ প্রচার ও অনুমোদন কেন্দ্র (ইন-স্পেস) ও মহাকাশ বিভাগ, ভারত প্রজাতন্ত্রের সরকার, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আরেকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ (ডিএসসিসি), ওয়েলিংটন ও ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) মিরপুরের মধ্যে কৌশলগত ও অপারেশনাল স্টাডিজ’র ক্ষেত্রে সামরিক শিক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।
তিনটি নবায়নকৃত সমঝোতা স্মারক হল, মৎস্য সহযোগিতা স্মারক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা স্মারক এবং স্বাস্থ্য ও ওষুধের সহযোগিতার ক্ষেত্র বিষয়ক সমঝোতা স্মারক।

দুই দিনের সরকারি সফর শেষে আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ৬টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে। ফ্লাইটটি রাত ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।