গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ শেষে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার ফিরে আসায় চট্টগ্রামসহ পুরো দেশে বইছে খুশির জোয়ার। তামিমের ফিরে আসার আনন্দে তার বাড়ির সামনে ভক্তদের মিষ্টিও বিতরণ করা হয়েছে। আনন্দ-উল্লাসে মেতেছেন পুরো নগরবাসী।
শুক্রবার (৭ জুলাই) জুম্মার নামাজের পর থেকে তামিমের ফিরে আসার দাবিতে দলে দলে সমর্থকরা মানববন্ধন শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা নগরীর কাজীর দেউড়িতে অবস্থিত তামিমের বাসার সামনে অবস্থান নেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তামিম গণভবন থেকে বেরিয়ে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফিরে আসার কথা জানালে ভক্ত-সমর্থকরা বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসে মেতে ওঠেন।
সরজমিনে তামিম ইকবালের বাসভবনের সামনে দেখা যায়, খবর পেয়েই বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে পুরো এলাকা মাতিয়ে তুলেন ভক্ত-সমর্থকরা। এ সময় আশপাশের বাসা থেকে তামিমের পরিবারের সদস্যরাও ছুঁটে আসেন। এক পর্যায়ে উপস্থিত ভক্ত-সমর্থকদের মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায় তমিমের পরিবারের সদস্যদের।
ভক্ত-সমর্থকরা বলেন, তামিম ভাইয়ের ক্রিকেটে ফেরায় আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা চাই তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলুক এবং ভালো কিছু করুক। তামিম ভাইকে মাঠে আবার দেখতে পাবো এর থেকে খুশির খবর এই মুহূর্তে আর কিছুই নেই। এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।
এদিন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষতের পর গণমাধ্যমকে তামিম ইকবাল বলেন, আজ দুপুর বেলায় আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বাসায় দাওয়াত করেছিলেন। উনার সঙ্গে অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন খেলায় ফিরে আসতে। আমি আমার রিটয়ারমেন্ট এই মুহূর্তে তুলে নিচ্ছি। কারণ আমি সবাইকে না বলতে পারি কিন্তু দেশের যে সবচেয়ে বড় ব্যক্তি তাকে না বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। তাতে অবশ্যই পাপন ভাই ও মাশরাফি ভাইয়ের বড় ভূমিকা ছিল।
তিনি বলেন, মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে নিয়েছেন। পাপন ভাই সাথে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড়মাসের জন্য একটা ছুটিও দিয়েছেন। আমি যেন মানসিকভাবে আরেকটু ফ্রি হতে পারি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে হঠাৎ করেই এক সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। তখন থেকেই আবারও ক্রিকেটে ফিরে আসার দাবি জানিয়ে আসছিলেন তামিমের ভক্ত-সমর্থকরা।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।