তিন বন্ধুর কাঁঠাল-কলার চিপস, স্বাদেও অনন্য

সচরাচর আলু দিয়ে তৈরি চিপস হরেক রকমের প্যাকেটে বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। তবে এবারআলুর পরিবর্তে কাঁঠাল ও কলার সমন্বয়ে মজাদার চিপস তৈরি করেছেন রাঙামটির ৩ বন্ধু। যা মানে যেমন ভালো তেমনি স্বাদেও অনন্য।

রাঙামাটি শহরের আসামবস্তিতে কাপ্তাই হ্রদের পাড় ঘেঁষে প্রমথ চাকমা, সুবিমল চাকমা ও শান্ত চাকমা মিলে গড়ে তুলেছেন এই চিপস তৈরির কারখানা। গত বছরের অক্টোবর থেকে যাত্রা শুরু করা এই ক্ষুদ্র কারখানাটি ইতিমধ্যে স্থানীয় বাজারে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, আগামীতে আমের চিপস তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁদের।

জানা গেছে, রাঙামাটিতে বছরে প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন কলা এবং এক লাখ মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপাদিত হয়। তবে ন্যায্য দাম না পাওয়ার কারণে অনেক ফল নষ্ট হয়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে তিন বন্ধু মিলে চিপস তৈরির উদ্যোগ নেন। বর্তমানে তারা প্রতিদিন প্রায় ৩০০ প্যাকেট চিপস উৎপাদন করছেন। যা ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ই-কমার্সের মাধ্যমেও এসব চিপস দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।

বেড়ার তৈরি ছোট একটি ঘরে স্থাপিত কারখানায় বর্তমানে দুজন শ্রমিক কাজ করছেন। উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা রয়েছে উন্নত মানের মেশিন সংযোজন করে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার প্যাকেট চিপস উৎপাদন করার। সুবিমল চাকমা জানান, তিন লাখ টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা এই কারখানাটি ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে পরিচালনার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান এই উদ্যোগকে সম্ভাবনাময় বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কলা ও কাঁঠালের উৎপাদন ভালো হওয়ায় এই উদ্যোগ স্থানীয় কৃষকদের জন্যও লাভজনক হবে। রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, যদি মান ঠিক রেখে চিপস তৈরি করা যায়, তাহলে এটি একটি সম্ভাবনাময় বাজার দখল করতে পারবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।