থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ভাই-বোন, সহযোগিতা চান বৃদ্ধ বাবা-মা

রাঙামাটির লংগদুতে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত একই পরিবারের দুই সন্তান। বড় ভাই সাইফুল্লাহ সাকিব (২২) থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত এবং একই রোগে ভুগছেন ছোট বোন সুমাইয়া আক্তার (১৫)।

উপজেলার মাইনীমূখ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বাইট্টাপাড়া (আলতাফ মার্কেট) গ্রামের দরিদ্র কর্ম অক্ষম মো. সিরাজুল ইসলাম (৬৫) ও খালেদা আক্তার (৪৫) দম্পতির সন্তান তারা।

খালেদা আক্তারের পৈতৃক সম্পদ এক পাহাড়ি টিলা জমিতে একটি ছোট জরাজীর্ণ ঘরে চার সন্তানসহ পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তিনি। দীর্ঘদিন নিজে ছোট খাটো কাজ করে ও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ছেলে সাকিব মোটরসাইকেলে ভাড়ায় চালিয়ে স্বল্প আয়ে কোনোমতে চলতো তাদের পরিবার।

কিছুদিন আগে বড় ছেলে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত সাকিব গাছ থেকে পড়ে ডান হাত ভেঙে ফেলেন। অন্যদিকে তার মাও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন, পাশাপাশি বাবাও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করতে অক্ষম। একই রোগে আক্রান্ত ছোট বোন সুমাইয়া আক্তার স্থানীয় একটি স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। কর্য, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তাদের চিকিৎসা করাতে হয়েছে। প্রতি মাসেই দুই ভাই বোনকে দিতে হয় রক্ত। সব মিলিয়ে প্রতিমাসে খরচ হয় ১০-১৫ হাজার টাকা। বিক্রির মতো আর কিছু না থাকায় অর্থাভাবে সন্তানদের চিকিৎসা এখন প্রায় বন্ধের পথে। এছাড়াও চিকিৎসা ও অর্থাভাবে সুমাইয়ার পড়াশোনাও বন্ধ প্রায়।

এদিকে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত সাকিবের স্ত্রী-শিশু সন্তানও একই পরিবারে থেকে দুঃখ কষ্টে জীবনযাপন করছেন। সকলেই তাদের এই দুরাবস্থায় সহযোগিতা চান।

এ বিষয়ে মাইনীমূখ ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াব এবং সরকারি ভাবে সহযোগিতা দেয়ার ব্যবস্থা করবো।

চোখের সামনে সন্তানদের এ করুণ পরিণতি আর সইতে পারছেন না বাবা-মা। তাই সন্তানদের পাশে দাড়াতে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সুহৃদয়বান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা চেয়েছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।