দর্জির পেশা ছেড়ে ইয়াবা ডিলার, হাতকড়া পরালো র‌্যাব

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শাহ মীরপুরের মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে আজম উদ্দিন চৌধুরী। পেশায় ছিলেন একজন দর্জি। দর্জি পেশার আড়ালে জড়িয়ে পড়েন খুচরা পর্যায়ে ইয়াবা বিক্রিতে। কাঁচা টাকার গন্ধে বেসামাল আজম স্বপ্ন দেখেন রাতারাতি বড় লোক হওয়ার।

বড় লোক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর এই দর্জি খুচরা বিক্রেতা থেকে ইয়াবার ডিলার বনে যান। টিন শেডের ঘরে মাটির নিচে রাখেন দুই লাখ বিশ হাজার ইয়াবা। আর নিজের ইয়াবার ব্যবসা নিরাপদ রাখতে বাঁশখালীর অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন দেশীয় তৈরি অস্ত্রও।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় র‌্যাব চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের এমনটি জানালেন র‌্যাব-৭এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এমএ ইউসুফ। এসময় উপঅধিনায়ক মেজর রিজোয়ান, র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছারসহ বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাব-৭এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এমএ ইউসুফ বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত ছিলাম টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামে ইয়াবার বড় চালান এসেছে। এই চক্র আমাদের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরাতে সিগারেটের একটি চালান নিয়ে মুভ করে। আমরা সিগারেট জব্দ করলেও তথ্য ছিল ইয়াবার। আমরা সিগারেট পেয়ে আমাদের তৎপরতা থামাইনি। আমরা আরও ব্যাপকভাবে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াই। এতে নিশ্চিত হই আজমের ইয়াবা আড়ৎ সম্পর্কে।

তিনি আরও বলেন, আজমকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যে মাটির নীচ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। আর ইয়াবার নিরাপত্তায় তারা অস্ত্র ব্যবহার করে। সেই অস্ত্রও আমরা একটি ড্রামে লুকানো অবস্থা থেকে উদ্ধার করেছি। এসময় তার সহযোগী ছৈয়দ নুর প্রকাশ রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আটক মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।