দলীয়-স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে নির্বাচনে উৎসবের আমেজ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

বিগত কয়েক দফা দেশে জাতীয় নির্বাচনে তেমন কোন উৎসাহ-উদ্দীপনা না থাকলেও এবার পরিস্থিতি পাল্টেছে। দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও এবার ভোটের মাঠ জমজমাট। আওয়ামী লীগের একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী জমিয়ে তুলেছে নির্বাচন। সাধারণ জনগণও এবার সুযোগ পাচ্ছে নিজের পছন্দ বাছাই করতে। সব মিলিয়ে আগের থেকে খানিকটা বেশিই উৎসব দেখা যাচ্ছে এবারের নির্বাচনে।

রোববার (৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে নির্বাচন নিয়ে সাধারণ জনগণের বাড়তি আমেজ। এছাড়া অনেক বিএনপিপন্থী ভোটারও কেন্দ্রে এসেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের টানে।

চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনের আবুতোরাব এলাকায় একটি কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন ইকবাল হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে তার পছন্দের রাজনৈতিক দল বিএনপি। তবে দলটি নির্বাচনে না আসায় এবং আন্দোলন-সংগ্রামে সফলতার মুখ না দেখায় হতাশ তিনি। আগের কয়েক দফা ভোট দিতে না আসলেও এবার আর ঘরে বসে থাকেননি। দলীয় প্রার্থীদের সাথে একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী জমিয়েছে ভোটের লড়াই। আর সেসব প্রার্থীর মধ্যে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগাতে এসেছেন ইকবাল। যদিও বিএনপি নির্বাচনে আসলে তাদের পক্ষে থাকার কথাই জানান তিনি।

দলীয়-স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে নির্বাচনে উৎসবের আমেজ 1

৮০ বছরের বৃদ্ধা আলমাস খাতুন। হাঁটার জোর নেই, তারপরও লাঠির ভর দিয়ে শীত উপেক্ষা করে এসেছিলেন ভোট দিতে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরে খুশি আলমাস খাতুন।

কর্ণফুলীর হাইলধর ইউনিয়নে বশিরুজ্জামান চৌধুরী শিক্ষা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসা বৃদ্ধা আলমাস খাতুনকে দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই।

আলমাস খাতুন জানান, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ছেলকে ভোট দেয়ার জন্য সকালে আসছি। অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সিল মেরেছি। বিভিন্ন রোগে ভুগছি দীর্ঘদিন ধরে, কখন মারা যায় জানি না। তারপরও জীবনের শেষ মুহুর্তের ভোটটা পছন্দের প্রার্থীকে দিতে পেরেছি।—তথ্য ও ছবি:ইমরান হোসাইন

মঞ্জুরী হক—বয়স ৬০ পেরিয়েছে। স্বামী মারা গেছেন অনেক আগে। অভাবের সংসারে বর্তমান সরকারের দেওয়া ভাতার অর্থ বড় সহায়। শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও ঘরে বসে থাকেননি। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে ছুটে আসেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়িস্থ ভুজপুরের একটি কেন্দ্রে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে আমাদের মতো গরিব দুঃখীদের অনেক কষ্ট লাগব হয়েছে। আমি নৌকায় ভোট দিয়েছে।

দলীয়-স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে নির্বাচনে উৎসবের আমেজ 2

এদিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের দক্ষিণ ছলিমপুর এলাকায় দেখা যায় এক প্রার্থীকে। যার দুই পায়ে সমস্যা থাকা সত্ত্বেও ছুটে এসেছেন ভোট দিতে। তিনি বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মনে প্রাণে ভালোবাসি। সরাজীবন নৌকায় ভোট দিয়েছি, এবারও নৌকায় দিবো।

ইকবাল-মঞ্জুরী-আলমাসদের মতো হাজার হাজার মানুষ ছুটছেন ভোটকেন্দ্রে। বিগত কয়েক দফা নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতা বা তুলনামূলক কম অথবা নামকাওয়াস্তে প্রতিদ্বন্দ্বি হওয়ায় নির্বাচনে তেমন আগ্রহ ছিলো না ভোটারদের। তবে এবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে প্রার্থীর সাথে দলীয় একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় বেড়েছে ভোটের আমেজ।

ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ ভোটারই ভোট দিচ্ছেন নৌকা বা ঈগল প্রতীকে। যদিও কিছু কিছু আসনে এর ব্যতিক্রম ঘটছে। ভোটাররা বলছেন, এবার অনেকজন প্রার্থী হওয়ায় যাচাই-বাছাই করে ভোট দেওয়া সুযোগ হচ্ছে। অনেকে বিএনপির নির্বাচনে না আসায় হতাশা প্রকাশ করলেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে বেশ জমে উঠেছে নৌকা-ঈগলের লড়াই। একদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পুত্র মাহাবুব উর রহমান রুহেল অন্যদিকে দীর্ঘদিন তৃণমূলের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে থাকা ঈগল প্রতীকের মো. গিয়াস উদ্দীন বাড়িয়েছেন এই আসনের নির্বাচনী আমেজ। ভোটের আগে যেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছিলো ভোটের দিনও দেখা যাচ্ছে জমজমাট পরিস্থিতি। তবে সকাল থেকে আশানুরূপ ভোটার পরিলক্ষিত হয়নি এই আসনে।

দলীয়-স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে নির্বাচনে উৎসবের আমেজ 3

এদিকে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য নৌকা প্রতীকের আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মোতালেবও জমিয়ে তুলেছেন নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণার সময় যেমন এই তুই প্রার্থীর নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিলো বাড়তি উত্তেজনা নির্বাচনের দিন ভোটারদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে তেমনটা। তবে শেষ হাসি কে হাসে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে পুরো দিন।

তবে চিত্রটা একেবারেই অন্যরকম চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনে। এই আসনের অধিকাংশ ভোটারের আস্থা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম আল মামুনের ওপর। অন্য প্রার্থীরা তেমন শক্তিশালী না হওয়ায় এখানে সংঘাতের সম্ভাবনাও কম রয়েছে। তবে দলীয় নেতাকর্মীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করছেন। আর সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের সরব উপস্থিতি নির্বাচনের আমেজ বাড়িয়েছে।

দলীয়-স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে নির্বাচনে উৎসবের আমেজ 4

এখনও পর্যন্ত নির্বচনের পরিস্থিতি সুষ্ঠু রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ১০টি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন, সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছে গেছে। সব প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রাখার চেষ্টা করেছি। আমাদের কর্মকাণ্ডে প্রার্থীরা আশা করি সন্তুষ্ট। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনের বাড়তি নজরদারি রয়েছে।


চট্টগ্রামের ১৬ আসনে লড়াই ১২৫ জনের

চট্টগ্রাম-১: মীরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন এবং মীরসরাই ও বারৈয়ারহাট পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫২৫ জন।

এবার এ আসনের প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মাহবুব উর রহমান রুহেল (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন (ঈগল), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী (লাঙল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. আব্দুল মন্নান (চেয়ার), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট মো. ইউসুফ (টেলিভিশন), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. নুরুল করিম আফছার (একতারা) ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (হাত পাঞ্জা)।

চট্টগ্রাম-২: ফটিকছড়ি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন এবং ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ জন।

দলীয়-স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে নির্বাচনে উৎসবের আমেজ 5

এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (তরমুজ), স্বতন্ত্র প্রার্থী আরেক আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজাহান (ঈগল), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী (একতারা), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (ফুলের মালা), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শফিউল আজম চৌধুরী (লাঙল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মীর মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম (চেয়ার) ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ হামিদ উল্লাহ (মোমবাতি)।

চট্টগ্রাম-৩: সন্দ্বীপের ১৫টি ইউনিয়ন ও সন্দ্বীপ পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯১৪ জন।

এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গত দুইবারের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা (নৌকা)। তার সঙ্গে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী (ঈগল), জাতীয় পার্টির এম এ ছালাম (লাঙল), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ উল্যাহ খাঁন (মোমবাতি), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মুহাম্মদ নুরুল আনোয়ার (একতারা) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোহাম্মদ মোকতাদের আজাদ খান (আম)।

চট্টগ্রাম-৪: সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন, সীতাকুণ্ড পৌরসভা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ২৭ হাজার ১৭২ জন।

এই আসনে এবার প্রার্থী আওয়ামী লীগের এস এম আল মামুন (নৌকা), তৃণমূল বিএনপির খোকন চৌধুরী (সোনালী আঁশ), বিএনএফ এর মোহাম্মদ আকতার হোসেন (টেলিভিশন), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ইমরান (ঈগল), জাতীয় পার্টির দিদারুল কবির (লাঙল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো মোজাম্মেল হোসেন (চেয়ার) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী (ডাব)।

চট্টগ্রাম-৫: হাটহাজারী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন, হাটহাজারী পৌরসভা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭১৩ জন।

এবার জাতীয় পার্টির জন্য এই আসনটি ছাড়তে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম এ সালামের মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়।

এই আসনে লড়ছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (লাঙল), স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী (কেটলি), আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাছির হায়দার করিম বাবুল (ঈগল), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক চাকসু ভিপি মো. নাজিম উদ্দীন (সোনালী আঁশ), বিএনএফ এর আবু মোহাম্মদ শামসুদ্দিন (টেলিভিশন), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির কাজী মহসীন চৌধুরী (একতারা), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ছৈয়দ হাফেজ আহমদ (চেয়ার) ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মোখতার আহমেদ (মোমবাতি)।

চট্টগ্রাম-৬: রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ১৬ হাজার ৯২০ জন।

এই আসনে লড়ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সফিক-উল আলম চৌধুরী (লাঙল), তৃণমূল বিএনপির মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী (সোনালী আঁশ), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের স.ম. জাফর উল্লাহ (চেয়ার) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম (ট্রাক)।

চট্টগ্রাম-৭: রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন, রাঙ্গুনীয়া পৌরসভা এবং বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর ও খরণদ্বীপ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯১ জন।

এ আসনে লড়ছেন প্রার্থী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ (নৌকা), জাতীয় পার্টির মুছা আহমেদ রানা (লাঙল), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (মোমবাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আহমদ রেজা (চেয়ার) ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মো. মোরশেদ আলম (একতারা)।

চট্টগ্রাম-৮: শ্রীপুর ও খরণদ্বীপ বাদে বোয়ালখালী উপজেলার বাকি ৮ ইউনিয়ন, বোয়ালখালী পৌরসভা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩,৪,৫,৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৩ জন।

এ আসনে লড়ছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ (লাঙল), স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম (কেটলি), নগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য বিজয় কুমার চৌধুরী (ফুলকপি), বিএনএফ এর এস এম আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন), তৃণমূল বিএনপির সন্তোষ শর্মা (সোনালী আঁশ), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন (চেয়ার), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াছ (হাতছড়ি), এনপিপির’র কামাল পাশা (আম), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মহিবুর রহমান বুলবুল (ডাব) ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. আব্দুন নবী (মোমবাতি)।

চট্টগ্রাম-৯: এ আসন গঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর এই ১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে। আসনটির মোট ভোটার ৪ লাখ ৯ হাজার ৫৭৬ জন।

এ আসনে লড়ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (নৌকা), ন্যাপের মিটুল দাশগুপ্ত (কুঁড়েঘর), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ নুরুল হুসাইন (হাতছড়ি), জাতীয় পার্টির সানজিদ রশিদ চৌধুরী (লাঙল) ও তৃণমূল বিএনপির সুজিত সরকার (সোনালী আঁশ)।

চট্টগ্রাম-১০: এ আসন গঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে। আসনটিতে এবার মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮০৩জন।

প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনজুর আলম (ফুলকপি), আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ (কেটলি), তৃণমূল বিএনপির ফেরদাউস বশির (সোনালী আঁশ), জাসদের আনিসুর রহমান (মশাল), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আলমগীর ইসলাম বঈদী (মোমবাতি) ও জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম রেজা (লাঙল।

চট্টগ্রাম-১১: এ আসন গঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে।

এ আসনে এবার প্রার্থী আওয়ামী লীগের এম এ লতিফ (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের জিয়াউল হক সুমন (কেটলি), গণফোরামের উজ্জ্বল ভৌমিক (উদীয়মান সূর্য), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), এনপিপির নারায়ন রক্ষিত (আম), বিএসপির মো. মহি উদ্দিন (একতারা) ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (চেয়ার)।

চট্টগ্রাম-১২: পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও পটিয়া পৌরসভা নিয়ে গঠিত আসনটির মোট ভোটার ৩ লাখ ২৯ হাজার ৪২৮ জন।

এ আসনে লড়ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী (ঈগল), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এম এয়াকুব আলী (নোঙর), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের কাজী মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন (চেয়ার), বাংলাদেশ কংগ্রেসের ছৈয়দ মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জেহাদী (ডাব), জাতীয় পার্টির নুরুচ্ছফা সরকার (লাঙল) ও তৃণমূল বিএনপির রাজীব চৌধুরী (সোনালী আঁশ)।

চট্টগ্রাম-১৩: আনোয়ারা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও কর্ণফুলী উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে। এ আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৪ জন।

ভোটে লড়ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির আবদুর রব চৌধুরী (লাঙল), তৃণমূল বিএনপির মকবুল আহম্মদ চৌধুরী (সোনালী আঁশ), বিএসপির মো. আরিফ মঈন উদ্দিন (একতারা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মৌলভি রশিদুল হক (বটগাছ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. আবুল হোসেন (মোমবাতি) ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন (চেয়ার)।

চট্টগ্রাম-১৪: চন্দনাইশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন, চন্দনাইশ ও দোহাজারী পৌরসভা এবং সাতকানিয়া উপজেলার কেওচিয়া, কালিয়াইশ, বাজালিয়া, ধর্মপুর, পুরানগড় ও খাগড়িয়া ইউনিয়ন নিয়ে এ আসন গঠিত। সেখানে এবার মোট ভোটার ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৯৩ জন।

ভোটে লড়ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার চৌধুরী (ট্রাক), জাতীয় পার্টির আবু জাফর মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ (লাঙল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ আবুল হোছাইন (চেয়ার), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মোহাম্মদ আলী ফারুকী (একতারা), বিএনএফর মো. গোলাম ইসহাক খান (টেলিভিশন) ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ।

চট্টগ্রাম-১৫ : লোহাগাড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন এবং সাতকানিয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও সাতকানিয়া পৌরসভা নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার মোট ভোটার ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৪১১ জন।

ভোটের লড়াইয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন নদভী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মোতালেব (ঈগল), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আলী হোসাইন (মোমবাতি), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ সোলাইমান কাসেমী (হাতছড়ি), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ ছালেম (লাঙল) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের (ছড়ি)।

চট্টগ্রাম-১৬: বাঁশখালী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও বাঁশখালী পৌরসভা নিয়ে গঠিত আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৫ জন।

ভোটের লড়াইয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান (ঈগল), আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির লিটন (ট্রাক), ন্যাপের আশীষ কুমার শীল (কুঁড়েঘর), বাংলাদেশ কংগ্রেসের এম জিল্লুল করিম শরীফি (ডাব), এনপিপির মুহাম্মদ মামুন আবছার চৌধুরী (আম), বাংলাদেশ ইসলামী মোহাম্মদ মহিউল আলম চৌধুরী (মোমবাতি), স্বতন্ত্র মো. খালেকুজ্জামান (বেঞ্চ) ও ইসলামী ঐক্যজোটের শফকত হোসাইন চাটগামী (মিনার)।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।