দীঘিনালায় যুবদল নেতার ওপর হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় ইউনিয়ন যুবদল নেতারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ এক সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে। হামলার পর পরই উত্তেজিত জনতা ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মেরুং দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদল নেতা আইন-উদ্দীনের উপর মেরুং বাজার এলাকায় অতর্কিত হামলা করা হয়েছে বলে জানায় উপজেলা যুব দলের আহব্বায়ক মো. মোতালেব হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামী লীগ নেতা ছোট মেরুং ১ কলোনি এলাকার মৃত নুর হোসেনের ছেলে মো. আব্দুল লতিফ(৫৫)। দীঘিনালা উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি উপজেলার চংড়াছড়ি এসএসইডিপি উচ্চ বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক।

দীঘিনালা থানা সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ২০২৩ সালের ২০ মার্চ এবং ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট দায়ের হওয়া পৃথক ২টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও তাকে গত ২০২৪ সালের ২৩ আগস্টে দায়েরও হওয়া এক মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

দীঘিনালায় যুবদল নেতার ওপর হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার 1

দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। কিন্ত তাদের মানুষের ওপর দমন নির্যাতন এখনো বন্ধ করেনি। আজ আমাদের এক দলীয় নেতার ওপর হামলা করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দীঘিনালা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া। তিনি বলেন আব্দুল লতিফ খাগড়াছড়ি সদর থানার এজাহারভুক্ত আসামী। তার বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও আজ আইন উদ্দীন নামে একজনকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে ধরে পুলিশে দিয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।