দেখা করতে এসে প্রেমিকার শরীর এসিডে ঝলসে দিল প্রেমিক আজিম!

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নে ইয়াছমিন আকতার (২০) নামে এক তরুণীকে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে অই তরুণীর শরীরের অর্ধেক অংশ চোখ, মুখ ও বুক ঝলসে যায়। এসিড নিক্ষেপে অভিযোগে পুলিশ মো. আজিম (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। আজিম পেশায় সিএনজি চালক।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) ভোরে অভিযান চালিয়ে মো.আজিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজিম তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে রাতের বেলায় ঘরের জানালা দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ভিকটিমের পরিবার।

জানা গেছে, বেতাগী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ডিঙ্গললোঙ্গো এলাকার আবুল বাশারের মেয়ে ইয়াছমিন আকতারের অভিযুক্ত আজিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যাযে ইয়াছমিন জানতে পারে আজিম বিবাহিত। তখন ইয়াছমিন সম্পর্ক থেকে সরে আসতে চায়।

পুলিশ জানায়, গত রাতে ইয়াছমিনের সাথে দেখা করতে যায় আজিম। জানালা দিয়ে কথা বলার সময় ইয়াছমিন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আজিম এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। আজিম চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড খন্তাকাটা এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে।

এই ঘটনায়া ইয়াছমিনের বড় ভাই আবু তাহের বাদি হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, আমি রাত ২ টার দিকে হঠাৎ করে আমার বোনের চিৎকার শুনতে পেয়ে রুমে ছুটে গেলে দেখি আমার বোনের শরীরের অর্ধেক অংশ ঝলসে গেছে। আমার বোন ইয়াছমিন জানায়- আজিম নামের এক ব্যক্তি তাকে জানালা দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চন্দ্রঘোনা একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এতে তার অবস্থা গুরুতর হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

আবু তাহের বলেন, আমার বোনের সুন্দর জীবন নষ্ট করেছে আজিম। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। যেন এভাবে কোন মেয়ের জীবন ধ্বংস না হয়।

রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব মিলকী বলেন, রাত আনুমানিক ৩ টার সময় একটি কল আসে। ঘটনা সম্পর্কে যেনে দ্রুত একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠাই। গিয়ে দেখা যায় ইয়াছমিন আকতার (২০) নামে এক তরুণীকে এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চদ্রঘোনা একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

ওসি রাঙ্গুনিয়া আরও বলেন, ইয়াছমিন আকতারের সাথে আসামি আজিমের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। একপর্যায়ে ইয়াছমিন জানতে পারে আজিম বিবাহিত এবং তার সন্তান রয়েছে। তারপর থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরী হয়। গতকাল রাতে ইয়াছমিনের সাথে জানালা দিয়ে আলাপ করার একপর্যায়ে হঠাৎ তার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে আজিম পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ইয়াছমিন আকতারের ভাই আবু তাহের বাদী হয়ে থানায় মো.আজিমকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করলে চন্দ্রঘোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার নিজ বাড়ি থেকে তালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।