দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে কাজ করছে এসিআই— ড. ফা হ আনসারী

চট্টগ্রাম ক্যাটেল এক্সপো—২০২২

এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. ফা হ আনসারী বলেছেন, দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য সরকারের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে এসিআই এগ্রিবিজনেস। জ্ঞান, দক্ষতা ও প্রযুক্তির দায়িত্বশীল প্রয়োগের মাধ্যমে খামারীদের জীবন মান উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে এসিআই।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে আয়োজিত চট্টগ্রাম ক্যাটেল এক্সপো—২০২২-এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন ড. ফা হ আনসারী।  তিনি বলেন- নীতিগত সহায়তা নিশ্চিত করা গেলে এই শিল্পের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সম্ভব হবে।  নতুন জাতের ব্রিড আমদানি, পশু খাদ্যের দাম কমানো, ভেটোরিনারি ক্লিনিক ও পশু পরিচর্যার পরিধি বৃদ্ধি এবং পশু চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

তিনি বলেন, এসিআই গবাদী পশুর পরিপূর্ণ ভ্যালু চেইন নিজে কাজ করছে। বাংলাদেশে খামারীদের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ও সমাধান ইন্ট্রোডিউস করছে কেবল এসিআই। ইনোভেশন টেকনোলজি হিসাবে রোবটিক ভ্যাকসিনেশন, ডেইরী ভ্যাকসিনেশন, অ্যানিমেল ফার্মাসিউটিক্যালস, অ্যাডভান্সড কাফ হেলথ ম্যানেজমেন্ট, রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ ম্যানেজমেন্ট, অ্যানিমেল জেনেটিকস, ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি এন্ড ক্লিনিকস’র সব সার্ভিস দিয়ে থাকে এসিআই।

দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে কাজ করছে এসিআই— ড. ফা হ আনসারী 1

ড. আনসারী আরও বলেন, এসিআইয়ের রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম আধুনিক সুযোগ সুবিদা সম্পূর্ণ ও বিজ্ঞানসম্মত এনিমেল জেনেটিকস বুল স্টেশন ও গবেষণাগার। এই গবেষণাগার থেকে আমরা উন্নত মানের সিমেন তৈরি করি, যার ফার্টিলিটি রেট ৮০ শতাংশের বেশী। ইতোমধ্যে গত ২ বছরে আমরা উন্নতমানের প্রায় ১১ লক্ষ বাছুর তৈরী করেছি। অচিরেই আমরা সেক্সড সিমেন এবং এমব্রায়ো ট্রাসফারের মতো উন্নত টেকনোলজি বাংলাদেশে সূচনা করবো। যা প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে এবং দেশের প্রাণিজ্ব আমিষ সরবরাহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালিন করবে।

তিনি আরও বলেন, খামারিদের সাথে অনলাইন প্ল্যাটফর্মস যেমন খামারি, রুপালি, সোনালির মাধ্যমে সম্প্রসারণেরও কাজ করছি। ফরওয়ার্ড লিংকেজের মাধ্যমে খামারিদের উৎপাদিত পণ্য বিপণনের ব্যবস্থা করছি এবং আরো ব্যাপকভাবে এর প্রসারের চিন্তা-ভাবনা করছি।

চট্টগ্রামের উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, প্রান্তিক খামারী, স্টেকহোলডার, বিজ্ঞানীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, উদ্যোগ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বিগত সময়ে প্রাণিসম্পদ সেক্টরের ব্যাপ্তি ও সফলতা এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
বিগত ১০ বছরে দেশে দুগ্ধজাত পণ্য গ্রহণ বেড়েছে পাঁচ গুণ, মাংস গ্রহণ বেড়েছে ছয় গুণ, ডিম গ্রহণ বেড়েছে তিন গুণ। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্দোক্তা, প্রান্তিক খামারী, স্টেকহোল্ডার, বিজ্ঞানীদের যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ মাছ, মাংস, ডিম উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে আমাদের দেশের বিজ্ঞানী, খামারী ও প্রাইভেট সেক্টর অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ক্যাটল এক্সপোর সাফল্যকে ধরে রাখতে হবে। ক্যাটেল এক্সপো- ২০২২ আয়োজন দেশব্যাপী নতুন নতুন উদ্দোক্তা তৈরীতে অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

এ সময় এসিআইয়ের ডেপুটি এক্সিকিউটভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহীন শাহ, ডিরেক্টর সেলস- ড. মো. আমজাদ হোসাইন, প্রোডাক্ট ম্যানেজার ড. মো. মোসাব্বির হোসাইন, ডেপুটি সেলস ম্যানেজার ড. আরশাদুল হাকিম চৌধুরীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।