দেশে দ্রব্যমূল্য ইউরোপ থেকেও কম— ড. হাছান মাহমুদ

ইউরোপের তুলনায় বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যর দাম বাড়েনি, কিছু আমদানি নির্ভর পণ্যের দাম বেড়েছে। বিএনপি নেতারা এগুলো জেনেও আহম্মকের মতো কথা বলেন এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে উস্কানি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে জাপান দূতাবাস আয়োজিত ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, করোনা এবং ইউরোপে যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীব্যাপী দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপে গত ১৩ বছরের মধ্যে খাদ্যপণ্যের দাম বর্তমানে সর্বোচ্চ। আমেরিকা অনেক দূরে হলেও সেখানে এবং ভারত, পাকিস্তানেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু অসাধু সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর পাঁয়তারা করে কিন্তু সরকার সেটার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। মির্জা ফখরুলরা তাদের অনুসারী ব্যবসায়ীদের উস্কানি দিয়ে বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্যে ভূমিকা রাখছেন বলে জানান ড. হাছান মাহমুদ। একইসাথে টিসিবি’র আওতা বাড়িয়ে নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে কম মূল্যে পণ্য কিনতে পারে সে ব্যবস্থাও সরকার করেছে।

এর আগে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনী সভায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্রুত উন্নয়নের এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে দেখতেন জাপানকে। তাই তিনি বাংলাদেশকে জাপানের মতো অল্প সময়ে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া সেই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

মন্ত্রী বলেন, জাপান বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে আমাদের সাথে রয়েছে। অনাগত ভবিষ্যতেও জাপান আমাদের পাশে থাকবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি সবাইকে বাংলায় সম্বোধন করে বলেন, বাংলাদেশের সাথে জাপানের ঐতিহাসিক সম্পর্ক দিনে দিনে আরো বন্ধুত্বপূর্ণ হচ্ছে, উন্মোচিত হচ্ছে সহযোগিতার নতুন নতুন দিগন্ত।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ট্রাস্টি মফিদুল হক সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন। এসময় বাংলাদেশ ও জাপানের কূটনৈতিক সর্ম্পকের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকে একটি স্মৃতি স্মারক প্রদান করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। পরে মন্ত্রী অতিথিদের সাথে নিয়ে প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।