দোকান নিতে সমিতিকে দিতে হয় চাঁদা

চট্টগ্রামের আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনী কাঁচাবাজারে সড়ক বা ফুটপাত যেখানেই ইচ্ছা বসতে পারবে, তবে হতে হবে সংগঠনের সদস্য। আর দিতে হবে দৈনিক বা মাসে মোটা অংকের চাঁদা। চাঁদা না দিলে দোকান বন্ধের হুমকি এবং মারধরের শিকার হন দোকানিরা। এসব ঘটনায় দোকানিরা অতিষ্ঠ হয়ে গত মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও’র কাছে লিখিতভাবে আবদুল হালিম ও আনোয়ার হোসেন প্রকাশ আনু মিয়ার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ বিকেলে মো. মিজান নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানে হালিম ও আনু মিয়া এসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। ঘটনাটি পুরো বাজারে জানাজানি হলে ২৭ মার্চ ভোক্তভোগীরা একটি বৈঠকে বসেন। বৈঠকে সাইফুদ্দিন, মামুন, করিম ও কায়ছার নামে কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও ১২ হাজার ৩শত টাকা নেওয়ার অভিযোগও তুলেন ভোক্তভোগীরা।

কাঁচাবাজারে সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের নুরুল ইসলাম, ফোরকান, রফিক, ফারুক, সেলিম, মিজান, কায়সার, মো. ফজল করিম, মো. মামুন, সাইফুদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন গণস্বাক্ষর করে লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), স্থানীয় চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা সমবায় সমিতির কাছে।

ফোরকান নামে এক দোকানি অভিযোগ করে বলেন, কাঁচাবাজারে দোকান করতে হলে দোকানিদের দিতে হয় চাঁদা। না দিলে হুমকি ও মারধরও করেন তারা। অভিযোগ যুক্ত ব্যক্তিদের অত্যাচারে আমরা আর কোনো উপায় না পেয়ে ইউএনও, স্থানীয় চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা সমবায় সমিতির কাছে অভিযোগ করেছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল হালিম বলেন, আমাদের সংগঠনটি নিবন্ধিত একটি সংগঠন। যারা এসব অভিযোগ করেছেন, তারা বাজারের কোনো দোকানিও না। একটা মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করেছে আমাদের বিরুদ্ধে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, চাতরী চৌমুহনী কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজির একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএফ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।