দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বহুল প্রতীক্ষিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১টায় এই প্রকল্প উদ্বোধন করেন তিনি। সেই সঙ্গে এই প্রকল্পের অধীন নির্মিত দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশনেরও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই এই রেলপথে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল করবে বলে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবির। এরপর ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে আইকনিক রেলস্টেশন ও দোহাজারী কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতা এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন ও রেল লাইন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার রেল যোগাযোগের সাথে যুক্ত হয়েছে। আজ গর্বিত হওয়ার দিন। আমি রেলপথ উদ্বোধন করে আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। এটা এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। আজ সেই দাবি পূরণ হয়েছে। নতুন এই রেল যোগাযোগ পর্যটন, শিল্পায়ন, ব্যবসা ও বাণিজ্য বাড়ানোর সাথে সাথে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড় করানোর নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

রেলওয়ে স্টেশন উদ্বোধনের মাধ্যমে, ব্রিটিশ আমলে প্রথম উদ্যোগ নেওয়ার ১৩৩ বছর পর বিশ্বের বৃহত্তম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার রেল যোগাযোগের আওতায় এসেছে। ট্রেন লাইন উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার থেকে একটি ট্রেনে চড়ে রামু যান। সেখান থেকে রামু ১০ পদাতিক ডিভিশন হয়ে হেলিকপ্টারে যাবেন জেলার সাগরদ্বীপ মাতারবাড়ী। বিকেলে সেখানে দলীয় জনসভায় ভাষণ দিয়ে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।

প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে শহরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। তিন দিন ধরে আইকনিক রেলস্টেশন ও রেলপথ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেখানে সর্বসাধারণের যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়। তারপরও প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখার জন্য আইকনিক রেলস্টেশন এবং রামু পর্যন্ত রেলপথের দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছেন হাজারো নারী, পুরুষ ও শিশু-কিশোর।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।