দিনমজুর পিতার মেধাবী সন্তান ইয়াসিন খন্দকার ইমন। কিন্তু নিজেও শারীরিক প্রতিবন্ধী। সেই প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে ইমন এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তার স্বপ্ন আউট সোর্সিং করে নিজের পড়াশোনার খরচ জোগানোর পাশাপাশি পিতাকেও সাপোর্ট দেয়া। আর তার দরকার একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাপটপ।
এই চাহিদার কথা পৌঁছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম-৯ আসনের সাংসদ ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের কানে। তিনি ইমনের জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ল্যাপটপ প্রদান করেছেন।
শুক্রবার (৭ জুলাই) দপুরে চট্টগ্রাম নগরীর চশমা হিলে নিজ বাসভবনে ল্যাপটপ প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, শিক্ষার্থীর পিতা মোঃ হারুন।
ল্যাপটপ প্রদান কালে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, দেশের সম্পদ। প্রয়োজন শুধু একটু মমতা, একটু ভালোবাসার। বাংলাদেশকে এমনই এক বাস্তবতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অটিজম আন্দোলনের ফলে অনেক অটিস্টিক শিশু মূলধারায় ফিরে আসছে। অসহায় পিতামাতা হতাশা কাটিয়ে পাচ্ছে উৎসাহ, সাহস আর আশ্রয়। বিশ্বে অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে যেখানে অটিস্টিক শিশুদের মধ্য থেকে তৈরি হয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশের শিশুরা সে পথেই হাঁটছে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করার ভিশন নিয়েছেন সেই ভিশন বাস্তবায়নে মোঃ ইয়াসিন খন্দকার ইমন একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধীরাও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।